ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

প্রযুক্তি উন্নয়নে বাংলাদেশ একটি মডেল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৫
প্রযুক্তি উন্নয়নে বাংলাদেশ একটি মডেল ছবি: জি এম মুজিবুর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহারে বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ হিসেবে পরিচিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তবে বাংলাদেশকে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও ডিভাইস তৈরিতে বিশ্বে স্থান করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।



বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিনদিনব্যাপী ‘রবি স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো-২০১৫’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আর শুধুমাত্র ইউজার না থেকে প্রডিউসারও হই। দেশিয় ব্র্যান্ডকে আরো চেষ্টা করতে হবে যেন হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও ডিভাইস তৈরি করে বিশ্বে স্থান করে নিতে পারি। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।

ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহারে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে একটি মডেল দেশ হিসেবে পরিচিত হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ মালদ্বীপ ডিজিটাল মালদ্বীপ গঠন করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর শেষে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ ঘোষণা, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কেনিয়ায় গিয়ে বাংলাদেশের নাম উচ্চারণ করেছেন। এতে আমাদের স্বপ্ন আরো বড় করে দেখার সুযোগ পাচ্ছি।

আর এ সব কিছুর উৎস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা না করলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। আর এই আগস্ট মাসে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে উন্নয়ন, চেতনা, স্বপ্নকে হত্যা করা হয়েছে। তবে আজকের তরুণ প্রজন্মের একটাই দাবি, ‘ইন্টারনেটের দাম কমাও, নৌকার ভোট বাড়াও’, বলেন পলক।

ভবিষ্যতে ইন্টারনেটের বিস্তৃতির উল্লেখ করে প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টারে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল সংযোগ ছাড়াও স্কুল, কলেজ, বাজারসহ জনসমাগমস্থলে ফ্রি ইন্টারনেটের জন্য এক লাখ হটস্পট করা হবে।

তবে ঘোষণা দিয়েও গ্রাহকরা থ্রি-জি সার্ভিস না পাওয়ায় টেলিকম অপারেটরদের সমালোচনা করেন পলক।   এ সময় তিনি সবার প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, মোবাইল অপারেটরসহ সবাই মিলে আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে অনুষ্ঠানে তথ্য প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রফতানি করবে।

লেখাপড়ার কাজে ব্যবহারোপযোগী অ্যাপস এবং ডিভাইস তৈরির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন এই প্রযুক্তিবিদ।

মোবাইল অপারেটর রবি’র কমিউনিকেশনস অ্যান্ড কর্পোরেট রেসপন্সিবিলিটি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকরাম কবীর বলেন, আরো কম মূল্যে যেন স্মার্টফোন পৌঁছে দিতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।

অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘জন্মযুদ্ধ ৭১’র অমি রহমান পিয়াল, বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী মুসা ইব্রাহীম, গোল্ডবার্গ মোবাইলের রাসেল আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

একটি মেগাপ্যাভিলিয়ন, ১৩টি প্যাভিলিয়ন, ৫টি মিনি প্যাভিলিয়ন এবং ১০টি স্টলে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বশেষ প্রযুক্তি ও মডেলের ডিভাইস প্রদর্শনী ও বিক্রি চলবে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মেলায় থাকছে বিশেষ একটি প্যাভিলিয়ন।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই মেলা চলবে। মেলায় প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা করা হলেও স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৫
এমআইএইচ/এবি

** রবি স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপোর পর্দা উঠলো

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।