ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অপরাধী ধরতে ইউএনওদের ফেসবুক পেজ খোলার পরামর্শ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৫
অপরাধী ধরতে ইউএনওদের ফেসবুক পেজ খোলার পরামর্শ ছবি: সোহাগ/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের(ইউএনও) প্রত্যেককে ফেসবুক পেজ খোলার পরামর্শ দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এতে অর্ধেক অপরাধ কমে আসবে বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী।


 
দেশব্যাপী শুরু হতে যাওয়া ‘ইন্টারনেট উইক’র আয়োজনকে সফল ও স্বার্থক করে তুলতে প্রতিটি উপজেলার আইসিটি ফোকাল পয়েন্টকে নিয়ে রাজধানীতে আয়োজিত ইন্টারনেট লিডারশিপ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন পলক।
 
রোববার (৩০ আগস্ট’২০১৫) সকালে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইডিইবি)’র মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তাসহ সব ক্ষেত্রে ইন্টারনেটকে যুক্ত করতে চাই।
 
নিজের জেলা নাটোরের সিংড়া উপজেলার ইউএনও’র হেল্পলাইন নম্বরের উদাহরণ টেনে পলক বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, ফরমালিনের ব্যবসায়ী- এমন সব অভিযোগ চলে যায় হেল্পলাইনে। ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের মাধ্যমে কয়েকশ’ মানুষের উপকার করা হয়েছে।
 
আসন্ন ইন্টারনেট উইকে ইউএনওদের এমন ইনোভেটিভ আইডিয়া নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৪৮৭ উপজেলার সকল ইউএনও প্রত্যেককে একটি করে ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে সাধারণ মানুষকে ইনভাইট করব, তারা যেন যেকোনো অসঙ্গতি, অনিয়ম, বিশৃঙ্খলার খবরটা ইনবক্সে দেয়; তাহলে ইউএনও’রা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
 
পাশাপাশি ইউএনওদের হেল্পলাইন নম্বরের জন্য গ্রামীণফোনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসএমএস এবং ফোনকলের জন্য তারা প্রত্যেক ইউএনওকে একটি করে সিম উপহার দেবে, এই ফোন নম্বরটা মোড়ে মোড়ে লিখে দেব, হেল্পলাইনের মাধ্যমে যেন ব্যবস্থা নেয়।

উপজেলায় ই-সেন্টারসহ কর্মকর্তাদের পাঁচ কর্মদিবসে নম্বরটি দেওয়া হলে অর্ধেক অপরাধ কমিয়ে আনতে পারবেন, আইসিটি-ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে।
 
ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের ১১ কোটি কর্মক্ষম তরুণ-তরুণীকে কাজে লাগিয়ে ২০১৮ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন ডলার রপ্তানির প্রত্যাশার কথা জানান পলক।

তিনি বলেন, সরকার, ব্যবসায়ী এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একযোগে কাজ করলে ইন্টারনেট থেকে ভাল কিছু করা সম্ভব।
 
আগামী ৫-১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বনানী মাঠে, ৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর নানকিন বাজারে ও ১১ সেপ্টেম্বর সিলেটের সিটি ইনডোর স্টেডিয়ামে বৃহৎ পরিসরে ইন্টারনেট উইকের আয়োজন করা হবে। এছাড়া ৫ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর দেশের ৪৮৭টি উপজেলায় সকল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের অংশগ্রহণে একযোগে এই উৎসব পালন করা হবে।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয়ভাবে ইন্টারনেট উইকের উদ্বোধনের সম্মতি দিয়েছেন বলে জানান প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।
 
ইন্টারনেটের প্রসার ঘটাতে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং গ্রামীণফোনের যৌথ আয়োজনে ‘ইন্টারনেট উইক’র আয়োজন করা হচ্ছে।
 
এতে শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স কোম্পানি, মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান, ওয়েব পোর্টাল, ডিভাইস কোম্পানিসহ ইন্টারনেটভিত্তিক পণ্য ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
 
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হারুনুর রশিদ, বেসিসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ইন্টারনেট উইকের আহ্বায়ক রাসেল টি আহমেদ, গ্রামীণফোনের পরিচালক (বিপণন) নেহাল আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
 
নেহাল আহমেদ বলেন, সবার জন্য ইন্টারনেটের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে গ্রামীণফোন।
 
আইসিটি বিভাগ, বেসিস এবং এবং গ্রামীণফোনের কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
 
ইন্টারনেট সপ্তাহে ১০ লাখ নতুন ইন্টারনেট গ্রাহক তৈরির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে আয়োজকরা।
 
ইন্টারনেট উইকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.bangladeshinternet.org ও ফেসবুক পেজ www.facebook.com/BDInternetWeek থেকে এই উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৫
এমআইএইচ/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।