মানুষের চোখের ভেতর রয়েছে ব্লাইন্ড স্পট (দৃষ্টিশক্তিহীন স্থান)। এই ব্লাইন্ড স্পট নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে অষ্ট্রেলিয়ার কুইনসল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিশেষজ্ঞ এবং গবেষণার (আই ট্রেনিং) উদ্ভাবক পল মিলার ও তার দলের সদস্য ‘গাই ওয়ালিস, পিটার জে বেক্স এবং ডেরেক এইচ. আর্নল্ড’।
ফলাফল হিসেবে তারা দেখতে পেয়েছে আশার আলো।
এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানানো হয়, গবেষক দলটি ১০ জন মানুষের উপর টানা ২০ দিন আই-ট্রেনিং‘র ব্যবস্থা করে, যেখানে কম্পিউটার এবং ব্লাইন্ড স্পট ব্যবহার করা হয়। ফলাফল হিসেবে মানুষের চোখের অভ্যন্তরে থাকা এই ব্লাইন্ড স্পটের ১০ ভাগ পর্যন্ত হ্রাস সম্ভবের তথ্য মিলে।
তাই যারা এখন ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য পদ্ধতিটি সহায়ক হবে বলে প্রত্যাশা করছে গবেষকরা।
পল মিলার বলেন, বয়স হিসেবে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন চিকিৎসাতেও ধারণাটি ব্যবহৃত হতে পারে, পশ্চিমা বিশ্বে এ সমস্যাটি দৃষ্টিহীনতার মুল কারণ।
গবেষণার তথ্য মতে, একটি দৃষ্টিশক্তিহীন স্থানকে বোঝায় এই ব্লাইন্ড স্পট যা প্রতিটি দৃষ্টিশক্তি থাকা মানুষের আছে। অপটিক নার্ভ রেটিনার মাধ্যমে ভিজ্যুয়াল সিগন্যাল মানুষের মস্তিস্কে পাঠানোর ফলে এমনটা ঘটে। আর যখন কোষের আলোকসংবেদনশীল স্তরের মধ্যে একটি ছিদ্র তৈরি হয়।
অন্য এক খবরে বলা হয় প্রত্যেকেরই আছে ব্লাইন্ড স্পট, যেখানে অপটিক নার্ভ রেটিনার সাথে যুক্ত থাকে। এই অংশে কোনো কোষ নেই। গবেষকরা এ অংশটি নিয়ে গবেষণা করে পেয়েছে এখানকার দেখারশক্তি বাড়ানো সম্ভব। এছাড়াও মানুষের বিভিন্ন ধরনের চোখের সমস্যায় পদ্ধতিটি প্রয়োগ করা যেতে পারে।
তথ্য মতে, অংশগহনকারীদের চোখের ব্লাইন্ড স্পটের ভিজ্যুয়াল ফিল্ডের মধ্যকার ওয়েবফ্রেমটি দেখানো হয়। এছাড়া প্যাটার্নের ডিরেকশন এবং কালার নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। ট্রেনিং শেষে প্রত্যেকে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে সক্ষম হয়।
আই ট্রেনিং’র পরিকল্পনাকারীর মতে, পদ্ধতিটি ব্লাইন্ড স্পটকে প্রতিক্রিয়াশীল করতে সক্ষম।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৫
এসেজডএম