ঢাকা: ইন্টারনেট সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হতে যাচ্ছে ‘ইন্টারনেট সপ্তাহ’। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে সপ্তাহব্যাপী পালিত হবে ‘ইন্টারনেট সপ্তাহ-২০১৫’।
জাতীয় সংসদের সামনে আসাদ এভিনিউতে আল্পনা আঁকার মাধ্যমে এ প্রচারণার উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
স্পিকার বলেন, মেলাটি দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই মেলার লক্ষ্য হচ্ছে- ইন্টারনেট সপ্তাহের মধ্যে এক কোটি জনগণকে ইন্টারনেটের সঙ্গে পরিচিত করা, ইন্টারনেটকে জনপ্রিয় করে তোলা এবং ইতোমধ্যে বাংলাদেশে যে ৫ কোটি ৭ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন সেই সংখ্যা ৬ কোটি ৭ লাখে নিয়ে যাওয়া।
তিনি বলেন, এটি প্রথম আয়োজন হলেও এর একটি পথ নির্দেশনা রয়েছে। সেই পথ নির্দেশন হলো- ১৬ কোটি মানুষের কাছে যাতে আমরা ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে পারি এবং সবাইকে যেন আমরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ইন্টারনেটে যুক্ত করতে পারি। সেই লক্ষেই এ প্রচারণা।
৫ সেপ্টেম্বর (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইন্টারনেট সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন বলে জানান তিনি।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে স্পিকার বলেন, আপনারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে দেখুন বিশ্ব আপনাদের হাতের মুঠোয়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমরা গড়ে তুলতে চাই। সেখানে ‘উন্নয়নের পাসওয়ার্ড ইন্টারনেট’ স্লোগানকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ইন্টারনেট সপ্তাহের উদ্দেশ্য হলো- বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া। অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ উন্নয়নের সব ক্ষেত্রকে ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত করতে এ উদ্যোগ বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ইন্টারনেট সপ্তাহের উদ্দেশ্য হলো- একেবারে কেন্দ্র থেকে প্রান্ত পর্যন্ত, ঢাকা থেকে উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যন্ত এক কোটি মানুষের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া। মানুষের যে ৫টি মৌলিক অধিকার রয়েছে এর সঙ্গে যদি ষষ্ঠ কোনো অধিকার যুক্ত হয় সেটি হতে পারে ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকার।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ইন্টারনেট সপ্তাহ শুরু হলো। এই মেলা সফল করতে গ্রামীণফোন সরকারি আইসিটি ডিভিশন এবং বেসরকারি বেসিসের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।
ইন্টারনেট সপ্তাহের আহ্বায়ক বেসিসের (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো ব্যতিক্রমী আয়োজনটা করছে সরকারি আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ), বেসরকারি ট্রেডবডি অর্থাৎ বেসিস এবং একটি ব্যবসায়িক সংগঠন গ্রামীণফোন। এ আয়োজনটি বিরল। কারণ এটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের স্বপ্ন অনেক বড়। ৫ কোটি গ্রাহককে ৬ কোটিতে নিয়ে যেতে চাই। এই মেলা সারা দেশব্যাপী হবে। ঢাকায় ৫, ৬ এবং ৭ সেপ্টেম্বর ৩ দিন মেলা হবে। ৯ তারিখ রাজশাহীতে মেলা হবে। ১১ তারিখ সিলেটে মেলা হবে। এছাড়াও ৪৮৭টি উপজেলা হেডকোয়ার্টার মাঠে মেলা হবে।
আয়োজকরা জানায়, ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বনানী মাঠে, ৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর নানকিন বাজারে ও ১১ সেপ্টেম্বর সিলেটের সিটি ইনডোর স্টেডিয়ামে বড় পরিসরে বাংলাদেশ ইন্টারনেট সপ্তাহ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৫
এনএইচএফ/এমজেড