ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অবৈধ ভিওআইপি’র বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার ও আইওএফ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৫
অবৈধ ভিওআইপি’র বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার ও আইওএফ

ঢাকা: অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) কলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার ও আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ)।
 
অবৈধ ভিওআইপি’র তথ্য দিলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এক লাখ টাকা পর্যন্ত এবং আইওএফ এক থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে।



টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১ অনুযায়ী অবৈধ ভিওআইপি কল আদান-প্রদান দণ্ডনীয় অপরাধ। সরকার এর বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
 
গত ৩০ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ পরিদর্শনে গিয়ে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ করতে এবং টেলিযোগাযোগ খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করতে সবার সহযোগিতা চান। এর প্রেক্ষিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বিটিআরসি এবং অপারেটরস ফোরাম নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে অবৈধ ভিওআইপি’র বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানান।

বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, অবৈধ ভিওআইপি’র ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিলে তথ্যপ্রদানকারীকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান বরাবর এ তথ্য দেওয়া যাবে। তথ্য প্রদানকারীর নাম-পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও জানান, এনায়েত হোসেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সঙ্গে আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরামও (আইওএফ) অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার বিরুদ্ধে গণমাধ্যম বিজ্ঞপ্তিতে আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে।
 
বিজ্ঞপ্তিতে আইওএফ জানায়, টেলিকম নীতিমালা অনুযায়ী দেশে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনা করা নিষিদ্ধ। এরপরেও কেউ কেউ এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার ব্যাপারে তথ্যপ্রদানকারীকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে। তথ্য প্রদানকারীর নাম-পরিচয় গোপন রাখা হবে।

অন্যদিকে, অবৈধ ইন্টারনেট সেবাদানকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে বিটিআরসি। চলতি মাস থেকেই দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় সংস্থাটি।
 
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি জানায়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট সেবা প্রদানের স্থাপনা নির্মাণ, যন্ত্রপাতি স্থাপন বা, পরিচালনার জন্য বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স গ্রহণের সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। কিন্তু অনেকেই এ বিধান মানছেন না। লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ইন্টারনেট সেবাকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা থেকে সংশ্লিষ্টদের বিরত থাকার জন্য বলা হচ্ছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৫(২) ও ৫৫(৭) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সবিহীন টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা প্রদান করার অপরাধে অনধিক ৩শ’ কোটি টাকা জরিমানা অথবা, ১০ বছরের কারাদণ্ড অথবা, উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৫
এমআইএইচ/এসইউ

** অবৈধ ভিওআইপি’র তথ্য দিলে ১ লাখ টাকা পুরস্কার

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।