ঢাকা: সাধারণ জনগণকে আরও বেশি অনলাইন সেবার আওতায় আনাসহ তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ভিত্তিক উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে ইন্টারনেট উইক আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম ৪৮৭টি উপজেলায় একযোগে ইন্টারনেট উইক আয়োজন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে বনানী মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের পুরো এলাকায় প্যাভিলিয়ন, স্টল তৈরির কাজ চলছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজকরা। ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে মাঠের উপরের অংশ। মাঠের মাঝখানে চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ। আয়োজকরা জানান, রাতের মধ্যে শেষ করা হবে স্টল-প্যাভিলিয়ন তৈরির কাজ।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), গ্রামীণফোন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এই উৎসবের আয়োজন করছে।
এতে অংশ নিচ্ছে ই-কমার্স, ওয়েবপোর্টাল, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ও সারাদেশের স্থানীয় মোবাইল ভিত্তিক উদ্যোগ। সারা সপ্তাহজুড়ে এসব উদ্যোগ প্রচার ও প্রদর্শন করা হবে। দর্শনার্থীরা এসব সেবা গ্রহণের প্রক্রিয়া সরাসরি দেখতে ও জানতে পারবেন।
ইন্টারনেট উৎসবের অংশ হিসেবে অর্ধশত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার এবং গণমাধ্যমে সাতটি পলিসি বৈঠকের আয়োজন করা হবে।
বেসিস জানায়, এই আয়োজনের মাধ্যমে ইন্টারনেট প্রবৃদ্ধির হার বাড়িয়ে প্রতিবছর ন্যূনতম এক কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক বাড়ানোই তাদের মূল লক্ষ্য।
বেসিসের সভাপতি শামীম আহসান বলেন, সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। তারই ধারাবাহিকতায় ইন্টারনেট উইক আয়োজন করা হচ্ছে।
এই আয়োজনে বেসিসের সদস্যভুক্ত কোম্পানিসহ বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবা সাধারণের সামনে তুলে ধরতে পারবো। এতে একদিকে যেমন সাধারণ জনগণকে ইন্টারনেটের প্রতি আগ্রহী করা হবে, অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবার প্রসার বাড়বে বলে মনে করেন বেসিস সভাপতি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৫
এমআইএইচ/এসআই