ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইন্টারনেটে ‘বাটি চালান’!

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৫
ইন্টারনেটে ‘বাটি চালান’!

ঢাকা: গ্রামবাংলার চিরায়ত প্রথা ‘বাটি চালান’। চুরি বা হারিয়ে যাওয়া মালামাল উদ্ধারে বাটি চালান হয় না এমন গ্রাম বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া মুশকিল।

আর এই বাটি চালানের জন্য এখন মুন্সি, মাওলানার প্রয়োজন পড়বে না। ইন্টারনেটে এক ক্লিকেই সম্পন্ন হবে প্রাচীন এই পদ্ধতি!
 
বিষয়টি শুনতেই হয়তো চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। ইন্টারনেটে বাটি চালান! কিভাবে সম্ভব? কেননা, বাটি চালান বলতেই তুলা রাশির জাতক, একজন মুন্সি বা মাওলানা আর গ্রামের শত শত উৎসুক মানুষের ভিড়ই চোখের সামনে ভেসে ওঠে। এ কাজ ইন্টারনেটে কিভাবে সম্ভব? কিন্তু এই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) বিভাগের দুই তরুণ শিক্ষক।
 
তরুণ ওই শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে যা জানা যায়- হারিয়ে যাওয়া মালামাল বা যে কোনোকিছু ফিরে পেতে প্রযুক্তিজ্ঞান দারুণ কার্যকরী হতে পারে। তাদের ভাষ্যমতে, হারিয়ে যাওয়া কোনো দ্রব্য, নিকট আত্মীয় কিংবা প্রিয় সন্তানটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না- এক্ষেত্রে থানা পুলিশ থেকে শুরু এমন কোনো পন্থা নেই যা অবলম্বন করতে হয় না। কিন্তু এমন একটি মাধ্যম যদি থাকে, যেখানে আপনার হারানো বা নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিটি বিনা খরচে প্রকাশ করা যায়, তাহলে কেমন হয়? আর বিজ্ঞপ্তিটি দেখে যদি কেউ হারানো জিনিস ফেরত দেয় বা প্রিয় সন্তানের খোঁজ দেয়, তাহলে বিষয়টি কত না সুখকর হয়। আর এ কাজটিই করে দেবে ‘বাটি চালান’।
 
ব্যানআইটি(Banit) নামে একটি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে আব্দুল কাদের ও দেওয়ান আদনান নামের ওই দুই শিক্ষক ‘বাটি চালান’ প্ল্যাটফরমটি তৈরি করেছেন। যেখানে হারানো বস্তু, দ্রব্য বা ব্যক্তির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে বলেই তাদের দাবি। এক্ষেত্রে সেবা নিতে চাইলে www.batichalan.com সাইটটির দ্বারস্থ হতে হবে।
 
বনানী সোসাইটি (পূজা) মাঠে আয়োজিত ডিজিটাল মেলা ও ইন্টারনেট সপ্তাহ অনুষ্ঠানে বাটি চালানের এ বিষয়টির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল ব্যানআইটি।
 
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী দেওয়ান আদনান বাংলানিউজকে বলেন, শুধু বাটি চালানই নয় আরও দুটো সেবা আনা হয়েছে। এর একটি পিয়ার টু পিয়ার (www.peer2peerschool.com) অন্যটি টেক্সট পোকা (www.textpoka.com)। পিয়ার টু পিয়ারের মাধ্যমে বিভিন্ন কমিউনিটির লোকজন নিজেদের মধ্যে জ্ঞান আদান প্রদান করতে পারবেন। এছাড়া টেক্সট পোকার মাধ্যমে আইটি বিষয়ে বিভিন্ন ভাষায় রচিত গুরুত্বপূর্ণ বইগুলো বাংলায় পড়তে পারবেন পাঠক।
 
বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, সেপ্টম্বর ০৬, ২০১৫
ইইউডি/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।