গাইবান্ধা: থেমে থেমে বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, বন্যার পানিতে বন্দি অবস্থায় দিনযাপন করছেন জেলার ৬২টি ইউনিয়নের ৪১৬টি গ্রামের অন্তত ৩ লক্ষাধিক মানুষ।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এদিকে, করতোয়া ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ছুঁই-ছুঁই করছে বলে জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র।
অপরদিকে, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধা সদরসহ সুন্দরগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি উপজেলার পানিবন্দি মানুষের কষ্ট চরম আকার ধারণ করেছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া, গিদারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্দি লোকজন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছেন।
সরেজমিন সদরের গিদারী বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধে চরম দুর্দশার মধ্যে বাস করছেন মানুষ। জীবিকার কাজে ব্যবহৃত স্যালো ইঞ্জিনচালিত ভটভটিকে অস্থায়ী ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন কেউ কেউ।
এছাড়া, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পানি ঢুকে পড়ায় নুতন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। গ্রামের অধিকাংশ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, টানা দু’সপ্তাহের বন্যায় মরিচ, রোপা আমনসহ অন্যান্য ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সব শাক-সবজির মূল্য অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ বাংলানিউজকে জানান, এ পর্যন্ত জেলায় বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে ৪৮০ মেট্রিকটন চাল ও ১১ লাখ ৯৫ হাজার নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া জরুরি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্পের মাধ্যমে বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৫
এসআর