ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বেশির ভাগ গ্রাহকেরই একাধিক সিমকার্ড

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৫
বেশির ভাগ গ্রাহকেরই একাধিক সিমকার্ড

ঢাকা: কলেজছাত্র রিয়াদুল করিম বেসরকারি একটি মোবাইল টেলিকম অপারেটরের সিমকার্ড ব্যবহার করেন ভয়েস কলের জন্য। একই মোবাইল ফোন সেটে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটক মোবাইল অপারেটরের সিমকার্ড ব্যবহার করে ইন্টারনেটে যুক্ত থাকেন।



অপারেটর ভেদে ভিন্ন ভিন্ন ভয়েস ও ডাটাচার্জ এবং নেটওয়ার্কজনিত কারণে একাধিক সিম ব্যবহার করেন বেশির ভাগ গ্রাহকই।
 
সম্প্রতি, একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকরা একাধিক টেলিকম অপারেটেরের সিমকার্ড ব্যবহার করছেন বলে তথ্য জানানো হয়েছে।
 
সরকারি হিসাবে সর্বশেষ জুলাই মাসের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ছয়টি মোবাইল টেলিকমের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১২ কোটি ৮৭ লাখ। আর ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা পাঁচ কোটি সাত লাখ সাত হাজার।
 
মোবাইল ফোন অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন গ্রুপ স্পেশাল মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন-জিএসএমএ’র ‘এশিয়া-প্যাসিফিক মোবাইল ইকোনমি-২০১৫’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে ইউনিক বা একক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছয় কোটি ৭০ লাখ।

জিএসএমএ’র তথ্য অনুযায়ী, এ দেশের মোট জনসংখ্যার ৪২ শতাংশ মানুষ প্রকৃত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী। প্রতিবেদনে একজন ব্যক্তির একাধিক সিমকার্ড থাকলেও তাকে একক ব্যবহারকারী হিসেবেই গণ্য করে তার একটি সিম কার্ডই বিবেচনায় নেওয়া হয়।
 
জিএসএমএ এবং সরকারি তথ্য বিশ্লেষণে বলা যায়, দেশের প্রত্যেক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী গড়ে দুটি সিম কার্ডের মালিক। দুইয়ের অধিক সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বেশি। মোবাইল ফোন অপারেটররাও বলছে, একজন ব্যক্তি একাধিক সিম ব্যবহার করেন।
 
গ্রাহকরা জানান, অপারেটর ভেদে কল ও ডাটাচার্জের ভিন্নতা, নেটওয়ার্ক সুবিধার কারণে তারা একাধিক সিম ব্যবহার করেন। মোবাইল ফোন নম্বর পোর্টেবিলিটি (মোবাইল ফোনের নম্বর একই রেখে এক সার্কেল থেকে অন্য সার্কেলের গ্রাহক হওয়ার) সুবিধা না থাকায় একাধিক সিম ব্যবহারের প্রবণতাও বেশি। আর বেশির ভাগ হ্যান্ডসেটে ডুয়েল সিম ব্যবহারের সুবিধাও রয়েছে।
 
জিএসএমএ’র তথ্যমতে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে একক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ছয় কোটি ৪০ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ। এক বছরে একক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ২ শতাংশ।
 
জিএসএমএ’র প্রতিবেদনে বাংলাদেশে একক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী বাড়াতে ও মোবাইল ফোন সংক্রান্ত সেবাগুলোকে সহজ করতে কর ব্যবস্থায় সংস্কারের ওপর জোর দেওয়া হয়। একেকটি মোবাইল ফোন কিনতে মোট খরচের ১৮ শতাংশ যায় কর সম্পর্কিত খরচে।
 
তবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের হিসাবে এই হার আরো প্রায় ৪ শতাংশ বেশি।

আমদানি শুল্কসহ অন্যান্য কর হার কমানো হলে তা জনগণের মোবাইল ফোন প্রাপ্তিকে আরো সহজতর করবে বলে জিএসএমএ’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
 
জিএসএমএর প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের একক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম হলেও তা অপারেটরদের জন্য সম্ভাবনাময় বলে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ২০২০ সাল পর্যন্ত অপারেটরদের আয়ে ৪-৭ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হবে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল বাজারগুলোতে একক ব্যবহারকারী বাড়ানোর সুযোগ এখনো আছে।
 
মোবাইলে ফোনে করহার সম্পর্কে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন বিজনেসম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিজামউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিটি মোবাইল সেট আমদানিতে ২১ দশমিক ৭৫ শতাংশ শুল্ক সংক্রান্ত খরচ পড়ে। এর মধ্যে ভ্যাট ১৫ শতাংশ, ট্যাক্স ৫ শতাংশ, এআইটি ১ শতাংশ এবং অন্যান্য ৭৫ শতাংশ।
প্রতিটি ফোনসেটের জন্য তারা ফ্ল্যাট রেটে শুল্ক দাবি করে আসছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৫
এমআইএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।