ঢাকা: মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি ও বাজারজাতকরণে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসি’র পূর্বানুমতি ছাড়া মোবাইল হ্যান্ডসেট তথা বেতারযন্ত্র আমদানি ও বাজারজাতসহ এ সংক্রান্ত যেকোনো অবৈধ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
আমদানি নীতি আদেশ ২০১২-২০১৫ ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ অনুযায়ী, যেকোনো প্রকার বেতার যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে বিটিআরসি’র পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হয়।
বিটিআরসি জানায়, ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বেশ কিছু প্রতিষ্ঠিত ও সুপরিচিত ব্র্যান্ডের নকল ও নিম্নমানের মোবাইল হ্যান্ডসেট বাজারজাত হচ্ছে।
‘বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিটিআরসি’র আমদানির অনাপত্তিপত্র ছাড়াই অনেক অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে নকল ও ওয়ারেন্টিবিহীন নিম্নমানের মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি ও বাজারজাত করছে। ’
সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বিটিআরসি’র সচিব মো. সরওয়ার আলম বাংলানিউজকে বলেন, এসব নকল ও নিম্নমানের মোবাইল হ্যান্ডসেটের বিভিন্ন ধরনের রেডিয়েশন জনস্বার্থের জন্য হুমকিস্বরুপ।
এছাড়া ওয়ারেন্টিবিহীন এসব সেট অল্প কিছুদিন পরই বিকল হয়ে যায়, ফলে ক্রেতা সাধারণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
‘অপরদিকে মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলো নকল হওয়ায় তার আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুপমেন্ট আইডেন্টি) নম্বর সঠিক থাকে না। এরফলে এ ফোনগুলো হারিয়ে বা চুরি হলে এসব ফোন দ্বারা অপরাধমূলক কার্যক্রম সংঘটিত হলে কোনোভাবেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক ট্র্যাক করা সম্ভব হয় না; বিধায় তা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরুপ। অবৈধভাবে আমদানি হওয়ায় সরকার প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছে। ’
নির্দেশনায় বলা হয়, ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিটিআরসি’র পূর্বানুমতি ব্যতীত বেতারযন্ত্র আমদানি ও বাজারজাতসহ এ সংক্রান্ত যেকোনো অবৈধ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষভাবে সতর্ক করা হলো।
অন্যথায় বেতারযন্ত্রের অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৫
এমআইএইচ/জেডএস