ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ব্রডব্যান্ড নীতিমালায় থাকছে সাইবার নিরাপত্তা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৫
ব্রডব্যান্ড নীতিমালায় থাকছে সাইবার নিরাপত্তা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সংশোধিত ব্রডব্যান্ড নীতিমালায় ‘সাইবার নিরাপত্তা’র নতুন বিষয় যুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) কমিশনের কার্যালয়ে ‘রিভিটিজিং দ্যা ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড পলিসি ফর দ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় একথা জানান তিনি।



২০০৯ সালে তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকাকালে ব্রডব্যান্ড নীতিমালা করা হয়েছিলো বলে জানিয়েছেন বর্তমান বিটিআরসি প্রধান।

তিনি বলেন, প্রথমত, নীতিমালায় যে টার্গেটগুলো করা হয়েছিল, সময়ের আগে আমরা সে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে গেছি। দ্বিতীয়ত, কতগুলো নতুন বিষয়, প্রযুক্তিগত বিষয় এসেছে। ব্রডব্যান্ড পলিসিতে সাইবার সিকিউরিটি নেই। এই নতুন নতুন জিনিসগুলো আসবে।

ব্রডব্যান্ড পলিসির খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হবে জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমি চাই যে বিষয়গুলো সত্যিকারভাবে আসা দরকার তা আসুক। এজন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আলোচনা, সেমিনার বা ওয়ার্কশপ করা হবে। তাড়াহুড়ো করে নয়, নীতিমালা করতে সময় নেব।

তিনি বলেন, আগামী অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি নীতিমালার খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়কে দেব। তারপর আবারও আলোচনা হবে, ওয়েবসাইটে মতামত নেব। আশা করি আগামী ৩/৪ মাসের মধ্যে হবে।

ব্রডব্যান্ড নীতিমালা নিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, কী উদ্দেশ্যে নিয়ে পলিসি করা হয়েছে, মানুষ কী চায়, তা এই পলিসিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে। কমিউনিকেটের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে।

বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালা নিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বেলেন, এমনভাবে পলিসিটা করেন, যেন সবার জন্য, সব স্তরের মানুষের জন্য সহজলভ্য হয়।

অপরদিকে, সংশোধনের পর্যায়ে থাকা টেলিযোগাযোগ নীতিমালা ‘ফ্রুটফুল’ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সুনীল কান্তি বোস।

তিনি বলেন, যে নীতিমালা করা হচ্ছে সেখানে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি, নীতিমালাটি সেকেলে।

পুরোনো টেলিযোগাযোগ নীতিমালায় সংশোধনী এনে খসড়া চূড়ান্ত করে স্টেকহোল্ডারদের মতামত নিচ্ছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। গত ১২ আগস্ট নীতিমালার খসড়া ওয়েবসাইটে দিয়ে মতামত চাওয়া হয়। এ বিষয়ে এখন বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা চলেছে।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, মন্ত্রণালয় সবশেষ যে নীতিমালা করেছে, আমার কাছে সঠিক নয় বলে মনে হয়েছে। কারণ এতে অনেক সেকেলে ধরনের জিনিসগুলোকেই রাখা হয়েছে।
 
১৯৯৮ সালে করা নীতিমালাটির উপর বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের মতামত পাওয়ার পর সংশোধিত নীতিমালার জন্য একটি সুপারিশমালা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এরপরই তা চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।

সংশোধিত নীতিমালা নিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, আনফরচুনেন্ট যে, যখন এগুলো (নীতিমালা) ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়, সাধরণ মানুষ, বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মতামত ঠিকভাবে পাই না। অনেক ক্ষেত্রে যেগুলো পাই, তা রাখি না।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৫
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।