এশিয়ার বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে তৃতীয় বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট, এশিয়া। এশিয়ার ফিন্যান্সিয়াল ও ক্যাপিটাল মার্কেট নিয়ে হংকং-ভিত্তিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ফিন্যান্সএশিয়া’র আয়োজনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এই সামিটে বাংলাদেশের আইসিটি খাতের বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে তুলে ধরেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সভাপতি শামীম আহসান।
সামিটে আমন্ত্রিত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে ‘ডেভেলপমেন্ট ইন দ্য আইসিটি সেক্টর’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সাফল্য, সম্ভাবনা, সক্ষমতা এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে পরবর্তী গন্তব্যস্থল (নেক্সট ডেস্টিনেশন) হবে সে বিষয়ে প্রেজেন্টেশন দেন। কিভাবে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের সম্ভাবনা ও সুযোগ কি তা উপস্থিতিদের অবহিত করেন তিনি। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
বেসিস সভাপতি বলেন, সরকার দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন বিবেচনা করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ভিশন বাস্তবায়ন করছে। দেশে বর্তমানে দেড় হাজারের অধিক সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া প্রায় অর্ধশত অপশোর ডেভেলপমেন্ট সেন্টার জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি কাজ করছে। যেখানে কর্মরত রয়েছে প্রায় আড়াই লাখ তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবি। পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে প্রায় ৭ লাখ ফ্রিল্যান্সার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাজ করছে। যার ফলে দেশের এই সেক্টরের বাজারের পরিমাণ ৬০০ মিলিয়ন ডলার দাড়িয়েছে। গত ৬ বছরে বাংলাদেশের এ খাতে রফতানি আয় ২৫ শতাংশ হারে বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, এদেশের প্রায় ৬৫ শতাংশ তরুণের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের হার তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
এখানে বর্তমানে প্রায় ১৩ কোটি মোবাইল ব্যবহারকারী ও প্রায় ৫ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। এছাড়া স্বল্প খরচ এবং রপ্তানিতে খুব সহজেই প্রবেশগম্যতার কারণে সফটওয়্যার এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট সেবায় বাংলাদেশ একটি পছন্দনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।
গার্টনার, এটিকার্নি, জেপি মরগ্যান, গোল্ডম্যান সাকস, কোফেস, ইল্যান্স-ওডেস্কসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনন্য স্বীকৃতি দিয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশ যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পরবর্তী গন্তব্যস্থল তা এখনই প্রতীয়মান হচ্ছে। তাই বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন অনন্য দেশ।
মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবিরের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাংলালায়ন কমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, আমরা টেকনোলজিসের প্রধান পরিচালক কর্মকর্তা শরফুল আলম ও আইটিসি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কাজী এস. মুনীর সহ দেশের সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৫
এসজেডএম