ঢাকা: প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলকে ২৩৪ মিলিয়ন ডলার (এক হাজার ৮২০ কোটি টাকা) জরিমানা করেছে মার্কিন একটি ফেডারেল আদালত। পেটেন্ট লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বিনাঅনুমতিতে ও অন্যায়ভাবে কিছু আইফোন ও আইপ্যাডের মডেলে মাইক্রোচিপ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে জানিয়ে অ্যাপলের বিরুদ্ধে ৪০০ মিলিয়ন ডলার (তিন হাজার ১১২ কোটি টাকা) ক্ষতিপুরণ চেয়ে আদালতে মামলা ঠুকে দেয় উইসকনসিন-মেডিসন বিশ্ববিদ্যালয়। গত ৫ অক্টোবর এ ব্যাপারে শুনানি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) এ আদেশ দেন আদালত।
উইসকনসিন-মেডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের পেটেন্ট নিবন্ধন শাখা দ্য উইসকনসিন অ্যালামনাই রিসার্চ ফাউন্ডেশন জানায়, তাদের উদ্ভাবন সুরক্ষায় এ আদেশ মাইলফলক হয়ে থাকবে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, উইসকনসিন-মেডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক মাইক্রোচিপ প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেন, যা কম্পিউটার প্রসেসরকে আরও কার্যকর করতে সক্ষম। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির কোনো অনুমতির ধার না ধরেই আইফোন ৫এস, ৬ ও ৬ প্লাস মডেলে এ প্রযুক্তির ব্যবহার করেছে অ্যাপল। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বাজারে আসা আইফোন ৬এস ও ৬এস প্লাসেও এর ব্যবহার করা হয়েছে।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে জানালেও এর বেশি কোনো মন্তব্য করেনি অ্যাপল।
শুক্রবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন উইসকনসিন-মেডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের একজন সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক গুরিন্দর সোহি। রায়ের সময় মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট জজ উইলিয়াম কোনলে বলেন, ড. সোহির জন্য বলছি, আমি আশা করি আপনার উদ্ভাবনের যথার্থতা প্রমাণিত হয়েছে।
উইসকনসিন অ্যালামনাই রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কার্ল গুলব্রান্ডসেন বলেছেন, এই আদেশের ফলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের কঠোর পরিশ্রম ও সততার বিজয় হয়েছে। বিচারক স্বীকার করেছেন, অ্যাপলের ব্যবহার করা মাইক্রোচিপ প্রযুক্তি আমাদের ক্যাম্পাসেই উদ্ভাবিত হয়েছে।
এর আগে ২০০৮ সালে একই অভিযোগে ইন্টেলের বিরুদ্ধেও মামলা করে উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়। সেবারও আদালত জরিমানার আদেশ দিয়ে বিষয়টি সুরাহা করেন। তবে ওই জরিমানার অংক কতো ছিল, তা প্রকাশ করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৫
আরএইচ