ইন্টারনেটে কারো ক্ষতি বা অপচেষ্টা করায় হলো ‘সাইবারবুলিং বা সাইবারঅ্যাটাক’। নিষিদ্ধ এই কর্মকান্ডকে রুখতে এ যাবত নেয়া হয়েছে নানান উদ্যোগ, এরপরও ক্রমশ এর ভয়াবহ চিত্র প্রতীয়মান হচ্ছে।
ভীতিকর এসব তথ্য উঠে এসেছে টিনেজারদের নিয়ে পরিচালিত সাম্প্রতিক সময়ের জরিপগুলোতে।
টিনেজারদের নিয়ে এরইমধ্যে করা এক জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, তাদের ৫ জনের মধ্যে ১ জনই সাইবার-ত্রাসের স্বীকার। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, গ্রিস, সাউথ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড এবং চেক রিপাবলিক থেকে এই জরিপে অংশ নেয় ৫ হাজার টিনেজার। যাদের বয়স ছিল ১৩ থেকে ১৮ বছর।
গবেষণায় পাওয়া তথ্য মতে, প্রায় অর্ধসংখ্যক টিনেজারের বিশ্বাস সাইবারবুলিং’র প্রভাব এখন ড্রাগ এডিকশনের চেয়েও ভংঙ্কর। আর অনেকেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছে এটা আত্মহত্যার চেয়েও কঠিন কিছু, আবার কেউ কেউ বলেছে এটা সন্ত্রাসী কাজের চেয়ে জঘন্ন।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে পৃথক এক গবেষণায় আশঙ্কা করা হয়, টিনেজারদের মতো একসময় ৫ বছরের বাচ্চারাও এই আক্রমণের কবলে পড়বে।
অনলাইনে নারী এবং অল্প বয়সীদের উপর হয়রাণী রোধে ইন্টারনেট সেন্সরশীপের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ।
এছাড়া বর্তমান জরিপের পর ভুক্তভোগীদের পাশে দাড়াতে ‘হ্যাস চিহৃযুক্ত বিস্ট্রং এন্ট্রি-সাইবারবুলিং ইমোজি’র উদ্যোগ নেয়া হয়।
বার্কলে ইউনিভার্সিটির মনোবিশেষজ্ঞ বলেন এটা অত্যাবশ্যক ছিল এর ফলে টিনেজাররা এখন তাদের সঙ্গীদের সমর্থন করতে পারবে।
কিন্তু ইমোজি বা আবেগ অনুভূতি মতামত প্রকাশে জন্য অসংখ্য ইমোজি বা ডিজিটাল পিকচার যথেষ্ট নয়। এর জন্য প্রয়োজন আরো ভাল টুলস যাতে সুনির্দিষ্ট ইমোজির মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের জানানো যায় আমরা তোমাদের পাশে আছি।
এ বিষয়ে একজন আয়োজক বলেন, এটা হলো বৈশ্বিক সামগ্রিক পর্যবেক্ষণের ফলাফল-আমরা মনে করি একইভাবে অনেক দেশে টিনেজারদের মধ্যে এটি
বিশাল সমস্যা—যেটা যে কোনো অভিবাবকদের কাছে উদ্বীগ্নের।
আরো বলা হয়, যখন সাইবারবুলিং এর মতো ঘটনা ঘটছে তখন আমাদের এই গবেষণা বহু টিনেজারদের খুজে হাজির করেছে তাদের সঙ্গীদের পাশে দাড়াতে। ‘বিস্ট্রং ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সঙ্গীদের তারা সমর্থন দিতে পারছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৫
এসজেডএম