ঢাকা: বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত করেছে সাইবার ক্যাফে ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) কোয়াব সভাপতি এস এম জুলফিকার হায়দার বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে, ১৯ অক্টোবর ছয় দফা দাবিতে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত বিটিআরসিকে সময় বেঁধে দেয় কোয়াব। দাবি না মানলে ২৮ অক্টোবর বিটিআরসি ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
দাবির মধ্যে রয়েছে, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) লাইসেন্স প্রদান, আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানকে হয়রানি বন্ধ, আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যান্ডউইথ বন্ধ না করা, গোয়েন্দা প্রতিবেদন জটিলতা নিরসন, মন্ত্রণালয় নয় বিটিআরসিকে লাইন্সেস দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া, আলোচনা সাপেক্ষে ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণ।
জুলফিকার হায়দার জানান, মঙ্গলবার সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির একটি প্রতিনিধিদল বিটিআরসি’র নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাত করে।
সাক্ষাত শেষে ছয় দফা দাবি তুলে ধরা হয়। চেয়ারম্যান দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন ও কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।
ছয়টি দাবির মধ্যে চারটি প্রায় পূরণ হয়েছে জানিয়ে সভাপতি বলেন, ২০১২ সাল থেকে লাইন্সেস দেওয়া বন্ধ রয়েছে। ২০১২ সালে আবেদিত ৬টি লাইন্সেস মঙ্গলবার দেওয়া হয়েছে, বাকিগুলো ক্রমান্বয়ে দেওয়ার আশ্বাস পেয়েছি। এছাড়া লাইন্সেস মন্ত্রণালয় নয়, বিটিআরসি থেকে দেওয়া হবে।
এসময় বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবীব খান, কোয়াব’র সাধারণ সম্পাদক এ এম কামাল উদ্দীন আহমদ সেলিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি নেয়ামুল হক খানসহ কার্যনির্বাহী কমিটিররা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৫
আরইউ/এসএস
** ‘ডিজিটাল’ হরতালের হুমকি কোয়াবের