ঢাকা: নম্বর অপরিবর্তিত রেখে মোবাইল অপারেটর বদলের সুযোগ (এমএনপি) দিতে নিলাম প্রক্রিয়ায় কিছু শর্ত আরোপ করছে সরকার।
স্বচ্ছতা আনতে নিলাম প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন ও কিছু শর্ত যুক্ত হচ্ছে জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, আগামী বছরের মার্চেই এ সুবিধা পাবেন গ্রাহকেরা।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কার্যক্রমের অগ্রগতি বাস্তবায়নের পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
এমএনপি সুবিধায় গ্রাহকরা ৩০ টাকা দিয়ে অপারেটর বদল করে ৪৫ দিন পর আবার অন্য অপারেটরে যেতে পারবেন। এজন্য নিলামের মাধ্যমে একটি অপারেটরকে নিয়োগ দেবে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বাংলানিউজকে বলেন, এমএনপির জন্য প্রতিষ্ঠান নিয়োগে নিলাম প্রক্রিয়ায় সংশোধন আনা হবে।
তিনি বলেন, লাইসেন্সের ক্ষেত্রে বিডিং প্রক্রিয়া হয় কি না- তা নিয়ে যাচাই-বাছাই করতে হবে। স্বচ্ছতা আনতে নিলাম প্রক্রিয়ায় কিছু শর্ত আরোপ করা হবে। আমরা চাই কোনো সিন্ডিকেট যেন না থাকে, কারো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপস্থিতে ওই বৈঠকে আরও যেসব শর্ত আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে তা জানাননি প্রতিমন্ত্রী।
নীতিমালা অনুযায়ী, নিলামের ভিত্তিতে একটি অপারেটরকে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
নিলাম প্রক্রিয়ায় বিড মানি ধরা হয়েছে এক কোটি টাকা, তা পরিবর্তন হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোবাইল ফোন অপারেটর বা তাদের সহযোগীরা এমএনপি নিলামে অংশ নিতে পারবে না।
গত ২ ডিসেম্বর এমএনপি নীতিমালার অনুমোদন দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে এই নীতিমালায় অনুমোদন দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
নীতিমালা অনুযায়ী, দেশি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানও নিলামে অংশ নিতে পারবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে (বিদেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ৫১ শতাংশ, দেশি প্রতিষ্ঠানের ৪৯ শতাংশ) নিলামে অংশ নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
এমআইএইচ/এমজেএফ