ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

শিশুদের মুটিয়ে দিচ্ছে মোবাইল গেমস!

রাকিবুল হাসান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
শিশুদের মুটিয়ে দিচ্ছে মোবাইল গেমস! ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: শিশুদের কাছে দিনে দিনে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মোবাইল গেমস। স্মার্টফোনে গেমস ডাউনলোড সহজ হওয়ায় শিশুরা নিজেরাই ডাউনলোড করে নিতে পারছে।

এসব গেমস অধিকাংশই ইন্টারনেট কানেকশন থাকা অবস্থায় খেলতে হয়। আর খেলার সময় মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে উঠছে নানা ধরনের শিশুতোষ বিজ্ঞাপন।

বাবা-মায়ের অজান্তেই এসব বিজ্ঞাপন স্বাভাবিকের তুলনায় বাড়তি ওজন বাড়িয়ে দিচ্ছে শিশুদের। এমনই এক ভয়ানক তথ্য উঠে এসেছে বিজ্ঞানীদের নতুন এক গবেষণায়।

হাজারখানেক শিশুর ওপর গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা জানান, ক্যান্ডি বা স্নাকস অর্থাৎ, খাবার সংক্রান্ত গেমস খেলার সময় বাবা-মায়ের অজান্তেই শিশুদের ওজন বেড়ে যাচ্ছে। তাহলে প্রশ্ন এসেই যায়, কীভাবে?

বিজ্ঞানীরা জানান, খাবার সংক্রান্ত গেমস খেলার সময় মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে ওঠে নানান রকম ক্যান্ডি বা স্নাকস জাতীয় খাবারের বিজ্ঞাপন। যা সচারাচর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়।

যদিও বিজ্ঞাপনে পণ্যের নাম ও লোগো স্পষ্ট করে দেখা গেলেও শিশুরা এসব নাম বা লোগো চিনতে পারে না। তবে এই খাবার সংক্রান্ত গেমস খেলার পর তাদের ক্যান্ডি খাওয়ার মাত্রা বেড়ে যায়।

গবেষকরা জানান, যেসব শিশু ইন্টারনেটে গেমস খেলার সময় খেলনা জাতীয় বিজ্ঞাপন দেখে তাদের থেকে খাবার সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেখা শিশুদের মধ্যে ক্যান্ডি খাওয়ার মাত্রা বেড়ে যায় শতকরা ৫৫ শতাংশ। এই জাতীয় গেমস খেলার পাঁচ মিনিট বিরতির পর শিশুরা ৭২ শতাংশ বেশি ক্যালোরি গ্রহণ অন্য শিশুর তুলনায়।

এর জন্য গবেষকরা অবশ্য দুষছেন বিজ্ঞাপনদাতা কোম্পানিগুলোকে। তাদের মতে, টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে নানা রকম বিধি-নিষেধ থাকলেও ইন্টারনেট দুনিয়ায় এর কোনো নিয়ম-কানুন নেই।

যদিও বিজ্ঞানীরা মনে করেন ক্যান্ডি জাতীয় খাবার খেলে শিশুদের মেদ বাড়ে না। তবে গবেষকরা দুই বছর একটি গবেষণা চালানোর পর জানান, যেসব শিশু আপেল খেতে পছন্দ করতো তাদের টানা কিছুদিন ক্যান্ডি দেওয়া হয়। এতে দেখা যায় তারা আপেলের চেয়ে ক্যান্ডি খেতেই পছন্দ করছে বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
আরএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।