ঢাকা: চলতি বছরে সারাবিশ্বে ১০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন রফতানির মাইলফলক ছুঁয়েছে হুয়াওয়ে। এমন ঘোষণাই দিলো হুয়াওয়ে কনজিউমার বিজনেস গ্রুপ।
আর এর মধ্য দিয়ে কনজিউমার ডিভাইস রফতানিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।
গত পাঁচ বছরে হুয়াওয়ের স্মার্টফোন রফতানির হার বেড়েছে ৩০০০ শতাংশেরও বেশি। ২০১০ সালে ৩ মিলিয়ন ডিভাইস রফতানি করলেও ২০১৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১০০ মিলিয়ন।
প্রিমিয়াম মার্কেটে হুয়াওয়ে ফ্ল্যাগশীপ ডিভাইসগুলোতে সৃজনশীলতা, ডিজাইন, ফ্যাশন, ফটোগ্রাফি এবং কর্মক্ষমতার সন্নিবেশ ঘটিয়ে নিজেদের কৃতিত্ব প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আকস্মিকভাবে হুয়াওয়ের এ সফলতা আসেনি উল্লেখ করে কোম্পানির কনজিউমার বিজনেস গ্রুপ হ্যান্ডসেট লাইনের প্রসিডেন্ট কেভিন হো বলেন, আমাদের পণ্যের উপর ভোক্তাদের চাহিদাই এই সফলতার অন্যতম কারণ। আর আমরাও প্রিমিয়াম স্মার্টফোনগুলো সারাবিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরে গর্বিত।
‘কর্মক্ষমতার সীমারেখার বাইরে সম্ভাব্য নতুন কিছুর প্রতি মানুষের চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত স্মার্টফোনের ধরনে পরিবর্তন আসছে। আরও উন্নত ডিভাইস বাজারে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আগামী ২০১৬ সালে নতুন পণ্য সংযোজনের পাশাপাশি বিশ্বের সেরা কয়েকটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে একীভূত হয়ে আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। ’
২০১৫ সালে হুয়াওয়ের মধ্যম ও ততোর্ধ্ব মূল্যমানের স্মার্টফোন রফতানি শতকরা ৩০ ভাগ বেড়েছে। যার মধ্যে আছে সেপ্টেম্বরে চার মিলিয়ন পি এইট, ৭.৫ মিলিয়ন পি সেভেন এবং ৬.৫ মিলিয়ন মেট সেভেন মডেলের স্মার্টফোন রফতানি।
মেট এস স্মার্টফোন উন্মোচন করে এশিয়া ও ইউরোপের ৪৮টি দেশে রফতানি করা হয়েছে। গুগলের সঙ্গে মিলে নেক্সাস সিক্সপি স্মার্টফোন তৈরি করে উত্তর আমেরিকায় রফতানি ও নভেম্বর মাসে মেট এইট স্মার্টফোন চীনে রফতানি করা হয়।
হুয়াওয়ের গবেষণা ও উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া, স্মার্টফোন বাজারে বৈচিত্র্যতা, ওমনি-চ্যানেল কৌশল এবং পণ্যনির্ভর ব্র্যান্ডের উপর বিশ্বস্ততার ফলাফল হিসেবে এ সফলতা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫ আপডেট সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা.
এমআইএইচ/এটি