ঢাকা: সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির কাজ শেষে মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু হলে অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ‘টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ’র (টিআরএনবি) নব নির্বাচিত কমিটির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ তথ্য জানান।
তারানা হালিম বলেন, মোবাইল হ্যান্ডসেটের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেনটিটি (আইএমইআই) নম্বরের জন্য একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরি করার কাজ চলছে। মোবাইল আমদানিকারকদের সংগঠন তাদের নিজস্ব ডাটাবেস স্থাপন করছে। ৬ ফেব্রয়ারি এ ডাটাবেজ সফটওয়্যার চালু করা হবে।
বেসরকারি উদ্যোগে চালু হওয়া এ ডাটাবেজ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সংরক্ষণ করবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈধপথে আসা হ্যান্ডসেটগুলোর আইএমইআই নম্বর সেখানে থাকবে।
‘এ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর এক সময় অবৈধ হ্যান্ডসেটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে’।
তিনি বলেন, সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের কাজ শেষ হলে সবার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। সেসময় অবৈধ বা নকল আইএমইআই নম্বর সম্বলিত হ্যান্ডসেট বন্ধ করে দেওয়া হবে, ওইসব হ্যান্ডসেট যেন চালু না থাকে সে বিষয়ে উদ্যোগ নেবে বিটিআরসি।
তারানা হালিম বলেন, কোনো হ্যান্ডসেট চালু হওয়ার পরই তার আইএমইআই নম্বর মোবাইল অপারেটরদের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যায়। অপারেটররা ইচ্ছা করলেও সেই হ্যান্ডসেটে সংযোগ বন্ধ করতে পারেবেন।
এদিকে সিমকার্ড নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তারানা হালিম বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করতে গিয়ে গ্রাহক ফিরে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একজনকেও ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না, বৃহস্পতিবার অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হবে।
আগামী এপ্রিলের মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এরপর অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেটগুলো বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান তারানা হালিম।
নকল মোবাইল ব্যবহার করায় অপরাধীদের সনাক্ত করা সম্ভব হয় না, পাশাপাশি হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলেও উদ্ধার করার যায় না।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহামন চৌধুরী, টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদী, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৬/আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা.
এমআইএইচ/এটি