ঢাকা: বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে নানা প্রশ্ন ও আশঙ্কা নিয়ে লিখেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে সারা দেশে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু হয়।
আঙ্গুলের ছাপ দেশের বাইরে চলে যাবে, ঘটবে বিপজ্জনক ঘটনা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন আশঙ্কার পর রোববার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তারানা হালিম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখেছেন ওই আশঙ্কা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই।
তারানা হালিম লিখেছেন- দেশ ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম/রিম নিবন্ধন পদ্ধতি ও কিছু কথা:
১। আঙুলের ছাপ NID তেও আছে, ছিলো আগের সিম/রিম রেজিস্ট্রেশন ফর্মেও এবং এইগুলো সব অপারেটরদের কাছেও ছিলো। তখন যদি বিদেশি এইসব অপারেটরদের হাতে আপনার আঙুলের ছাপ তুলে দিতে পারেন তবে এখন কোনো সিম কার সেই নিয়ম মেনে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ ভেরিফিকেশন করতে আপনাদের ভয় কিসের? সন্ত্রাসী এবং অপরাধী ছাড়া এ পদ্ধতিতে ভয় পাবার কথা না।
২। আপনার সিমের মালিক যে আপনি সেই জন্যই এনআইডি'র ডাটাবেইসের সঙ্গে এখন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শুধুমাত্র আপনার আঙুলের ছাপটি মিলিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সিম কিনলে আপনি সিমের মালিকানা কেন স্বীকার করবেন না?
৩। এই পদ্ধতি বাংলাদশের সব নাগরিকের জন্যই প্রযোজ্য। সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ সব নাগরিকদের জন্যই প্রযোজ্য। সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য থাকলে এটা সবার জন্য প্রযোজ্য হতো না।
৪। যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন এই ডাটাবেইসে প্রবেশ করতে পারবে। যা ইতোমধ্যে আপনার এনআইডিতেও আছে। এখন শুধু এই আঙুলের ছাপের সঙ্গে আপনারটা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। একটি এনআইডি'র বিপরীতে পূর্বে যেমন ৬০ হাজার বা এর অধিক সিম পাওয়া গেছে সেটা এড়াতেই এখনকার এই বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে।
‘সুতরাং দেশ ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে আপনারা সকলে এই পদ্ধতিতে সিম/রিম রেজিস্ট্রেশন করুন। কোনো মিথ্যা সংবাদে বিভ্রান্ত হবেন না। ’
আপনারা আমাদের জনগণ, আমরা আপনাদের জন প্রতিনিধি, আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব, লিখেছেন প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
এমআইএইচ/এসএইচ