প্রশ্ন উঠেছে, তবে অ্যাপল কোন পক্ষে, জঙ্গিবাদের নাকি জঙ্গি দমনের! বুধবার সকালে অ্যাপল’র ওয়েব সাইটে প্রধান নির্বাহী টিম কুকের দেওয়া একটি সিদ্ধান্তের কথা জানাজানি হওয়ার পর এই প্রশ্নটিই ঘুরপাক খাচ্ছে।
বিষয় একটি আইফোনের লক খুলে দেওয়া নিয়ে।
হামলার সময় নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিহত হন সৈয়দ ফারুক ও তার স্ত্রী তাসফিন মালিক। এরপর ফারুকের ব্যবহৃত আইফোনটি পড়ে এফবিআই’র হাতে। এর আসে তদন্তের পালা। যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত অ্যাপলকে নির্দেশ করে ওই ফোনটির কি লক খুলে দিতে। এতে হামলার মূল হোতাদের চিহ্নিত করা সহজ হতে পারতো। কিন্তু বাধ সাধে অ্যাপল’র নীতি। ২০১৪ সাল থেকেই আইফোন একটি সফটওয়্যার দিয়ে আসছে যাতে আইফোনের কোনও ব্যবহারকারী নিজে পাসকোড না দিলে সেটি খোলা যাবে না। তারই ধারাবাহিকতায় সৈয়দ ফারুকের ফোনটিও খোলা যায়নি।
সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর ধারনা করা হচ্ছিলো, অ্যাপল জঙ্গি বিরোধী অবস্থান নিয়ে এটি খুলে দেবে। কিন্তু বুধবার সকালে অ্যাপল’র প্রধান নির্বাহী টিম কুক স্রেফ জানিয়ে দেন, তার ফার্ম বরং আদালতে লড়বে কিন্তু এটি খুলে দেবে না। কারণ এতে তার লক্ষ কোটি গ্রাহকের সিকিউরিটি সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের নাগরিকদের যে স্বাধীনতা দিয়েছে তা এতে ভুলণ্ঠিত হতে পারে।
তবে লস এঞ্জেলসের জেলা আদালতের বিচারক শেরি পিম মনে করেন, তদন্তের স্বার্থে অ্যাপল’র উচিত আইফোনের লকটি খুলে দেওয়া।
আর এ নিয়ে সমালোচনা উঠেছে সাধারণের মাঝেও। অনেকেই মনে করেন, এই বিশেষ কারণে অ্যাপল তার নীতির বাইরে অবশ্যই যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময় ২১১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
এমএমকে