ঢাকা: উন্নত প্রযুক্তি ও মৌ চাষির সংখ্যা বাড়ালে বছরে এক লাখ মেট্রিক টন মধু উৎপাদন সম্ভব বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তন চত্বরে ‘মৌ মেলা ২০১৬’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই)।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, বর্তমানে দেশে বছরে মাত্র ৪ হাজার মেট্রিক টন মধু উৎপাদিত হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, উন্নত প্রযুক্তি ও মৌ চাষির সংখ্যা বাড়ালে বছরে এক লাখ মেট্রিক টন মধু উৎপাদন সম্ভব। এটি করতে পারলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও মধু রফতানি করা যাবে।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, মৌ চাষের কারণে কৃষিখাতে ১০ থেকে ১২ ভাগ উৎপাদনও বেড়ে যায়। তাই এ বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করে তুলতে হবে। কেননা বাংলাদেশের আবহাওয়া মৌ চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আনোয়ার ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, শুধু রফতানি নয়, দেশের মানুষের চাহিদার কথাও ভাবতে হবে। এ কারণে মৌ চাষ বৃদ্ধি করলে আমাদের মধুর চাহিদা পূরণ সম্ভব।
গবেষকদের উদ্দেশ্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এমন কিছু উদ্ভাবন করতে হবে যেন খুব সহজেই ভোক্তারা ভেজাল মধু নির্ধারণ করতে পারেন।
রফতানিকারকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রথম চালানে ভালো পণ্য দেওয়ার পর ভেজাল মিশ্রিত পণ্য রফতানির প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে মৌ চাষের ওপর ভিডিওচিত্র উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটির শিল্প সংস্থা (বিসিক) প্রকল্প পরিচালক খোন্দকার আমিনুজ্জামান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ এফ এম ফকরুল ইসলাম মুন্সী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান, জাতীয় মৌ চাষ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. এবাদুল্লাহ আফজাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মৌ চাষিরা নিরাপত্তা জোরদার, সঠিক দাম নিশ্চিত, গবেষণা বৃদ্ধি, মৌ চাষের সুফলের তথ্য সরবরাহ সহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
'মিলবে পুষ্টি বাড়বে ফলন, আয় বাড়াবে মৌ পালন' এ স্লোগান নিয়ে মৌ মেলা চলবে ১ মার্চ পর্যন্ত। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৬
একে/আরএইচএস/পিসি