ঢাকা: নতুন লোগোতে ‘স্বপ্ন হাসিমুখের’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করলো দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়াত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক। রি-ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে টেলিটক আগামী দিনে বিস্তৃত পরিসরে উন্নত সেবা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের ঐতিহ্য ধারণ করতে পারে এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়াবে- এমন ‘নতুন প্রযুক্তির পাল নিয়ে’ নতুন লোগোতে ‘হাসিমুখে নতুন পথে’ যাত্রা শুরু করলো টেলিটক। এর উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
মঙ্গলবার (০৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রি-ব্র্যান্ডিং ও নতুন লোগো উন্মোচন উপলক্ষে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার নবরাত্রী হলে আয়োজন করা হয় জমকালো অনুষ্ঠান।
নতুন লোগো উন্মোচনের পর প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান টেলিকম কোম্পানি হিসেবে টেলিটককে প্রতিষ্ঠিত করতেই এই রি-ব্র্যান্ডিং ও নতুন লোগো উম্মোচন। টেলিটককে আমরা বাড়তি সুবিধা দিতে চাই না। সবার জন্য প্রতিযোগিতামূলক বাজার রাখতে চাই ও টেলিটককে প্রতিযোগিতায় নিয়ে আসতে চাই।
টেলিটকের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা দেশের ফোন, আয় দেশেই থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা পেছনে ফিরে তাকাতে চাই না। অতীতের সব ব্যর্থতা ভুলে টেলিটক নিজের পায়ে দাঁড়াবে বলে আমার বিশ্বাস।
রি-ব্র্যান্ডিংয়ের মধ্য দিয়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক আরও বিস্তৃত করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক হাজার ৫শ থ্রিজি ও এক হাজার ৭শ টুজি বিটিএস স্থাপন করা হবে শিগগিরই। আমরা ইউনিয়ন ও গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত টেলিটকের নেটওয়ার্ক নিয়ে যেতে চাই।
আয়োজন নিয়ে তারানা হালিম বলেন, টেলিটক প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রবেশ করছে তাই এ আয়োজন করা হয়েছে।
রি-ব্র্যান্ডিংয়ের পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিও ‘খেয়াল’ রাখা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
সভাপতির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব এবং টেলিটকের চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমরা এখন সামলম্বী হয়েছি, সময়ের সঙ্গে টেলিকম প্রযুক্তিকে মানুষের আরও কাছাকাছি নিয়ে যাওয়াই টেলিটকের মূল উদ্দেশ্য।
টেলিটকের নতুন যাত্রায় কয়েকটি বিষয় নজর রাখতে হবে জানিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, নিরবিচ্ছিন্ন ভয়েস ও ডাটা সার্ভিস, কোয়ালিটি অব সার্ভিস, আকর্ষণীয় অফার ও গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে এই নতুন লোগো ও রি-ব্র্যান্ডিং স্বার্থক হবে।
গ্রাহক সেবাই টেলিটকের প্রধান লক্ষ্য জানিয়ে অপারেটরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিভিন্ন বাধা বিপত্তি ও বিশেষত বিনিয়োগ স্বল্পতার কারণে টেলিটকের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো কিছুটা বিঘ্নিত হয়।
থ্রিজি সেবা চালুর মাধ্যমে টেলিটক ইন্টারনেট সেবায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে, টেলিটক হয়ে উঠেছে জাতীয় আস্থার প্রতীক।
টেলিটকের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডার জনপ্রিয় অভিনেতা ও নাট্যব্যক্তিত্ব জাহিদ হাসান বলেন, টেলিটক মায়ের মতো, সেই মায়ের মুখে সর্বদা হাসি দেখতে চাই। আর এই হাসি ছড়িয়ে যাবে সবার মুখে।
বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খানসহ বেসরকারি অপারেটরদের প্রতিনিধি ও টেলিটকের রিটেইলারসহ সংশ্লিষ্টরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নতুন উদ্যমে, নতুন স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করার প্রত্যয় নিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ছিলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলা ব্যান্ড ‘জলের গান’ ও কণ্ঠশিল্পী কোনালের সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ আয়োজন।
বেসরকারি অপারেটরদের প্রায় এক বছর আগে থ্রিজি সেবা চালু করা টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা ৪২ লাখ ৫৬ হাজার। আর দেশে ছয়টি অপারেটরের মোট গ্রাহক ১৩ কোটি ১৯ লাখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৬/আপডেট: ০০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৯
এমআইএইচ/এএসআর/এসএস