ঢাকা: বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের দুই কোটি ৩২ লাখ গ্রাহকের পুনরায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। যা তাদের মোট গ্রাহকের ৪১ শতাংশ।
মোবাইল সিমের তথ্য যাচাইয়ে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আঙ্গুলের ছাপ বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিমের তথ্য যাচাই শুরু করা হয়।
গ্রামীণফোন মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এই প্রক্রিয়ায় গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং আঙ্গুলের ছাপ নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজে রক্ষিত তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়।
গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন বলেন, নিজে থেকেই পুনরায় নিবন্ধনের জন্য এগিয়ে আসায় আমি সম্মানিত গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সঙ্গে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। চ্যানেল পার্টনাররাও এই বিশাল উদ্যোগ বাস্তবায়নে খুবই ভালোভাবে সহায়তা করছেন।
মোবাইল অপারেটদের আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করার বিষয়ে সম্প্রতি যে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে গ্রামীণফোন জানায়, প্রতিষ্ঠানটি তার ডাটাবেসে কোনো আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করে না। আঙ্গুলের ছাপের তথ্য একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ভেরিফিকেশন করা হয়। নির্বাচন কমিশন থেকে গ্রামীণফোন শুধু হ্যাঁ/না বার্তা পায়।
ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সংগৃহীত আঙ্গুলের ছাপের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার জন্যই গ্রাহকদের আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়।
যেসব গ্রাহক এখনেও সিম নিবন্ধন করেননি গ্রামীণফোন তাদের নিশ্চিন্তে সিম পুনরায় নিবন্ধনের জন্য আহ্বান জানায়।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সব সিম পুনরায় নিবন্ধন করতে হবে।
সারাদেশে গ্রামীণফোনের ৪৩ হাজার বায়োমেট্রিক পয়েন্ট থেকে পুনরায় সিম নিবন্ধন করা যাবে বলে জানানো হয়। গ্রাহকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, একটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং নিবন্ধন করার জন্য সিমটি সঙ্গে আনতে হবে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসের হিসেবে ছয়টি অপারেটরের মোট ১৩ কোটি ১০ লাখ ৮৫ হাজার গ্রাহকের মধ্যে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা পাঁচ কোটি ৬১ লাখ ৩২ হাজার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৬
এমআইএইচ/আইএ