ঢাকা: বাংলাদেশের রয়েছে অসীম সম্ভাবনা। আর এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের উচিত এখন তরুণ উদ্ভাবকদের উৎসাহ দেওয়া এবং তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা।
‘বাংলাদেশ: দি নেক্সট টেক ফ্রন্টিয়ার’ স্লোগানে রাজধানীর র্যাডিসন হোটেলে এসডি এশিয়া আয়োজিত ‘ইনোভেশন এক্সট্রিম-২০১৬’ ইভেন্টে উদ্যোক্তাদের উজ্জীবিত করা বক্তব্য রাখছিলেন ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটালের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সিইও আনিসউজ্জামান।
শনিবার (১৯ মার্চ) বিকেলে এ আয়োজনে দেশের ২৫টি স্টার্টআপসহ ২৫ জন নামকরা ইন্ডাস্ট্রি ব্যক্তিত্ব অংশ নেন।
সিলিকন ভ্যালির ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল শূন্য হাতে যাত্রা শুরু করেছিল জানিয়ে আনিসউজ্জামান বলেন, বর্তমানে প্রায় ৬০টির অধিক স্টার্টআপ কোম্পানিতে তাদের বিনিয়োগ রয়েছে। শূন্য থেকে ১.৫ বিলিয়ন ডলারের মূলধন জোগাড় করার অভিজ্ঞতা অল্প কথায় সবার সঙ্গে শেয়ার করলেন তিনি।
বললেন, বিশ্বের প্রথম ফ্যামিলি রোবট জিবোর কথাও। কীভাবে এই ছোট্ট রোবট আপনার পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য হয়ে উঠবে সেটিও বর্ণনা করে দিলেন। তারপর একে একে বললেন স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অবদান রাখতে চলা রোবট দ্য ভিঞ্চি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যার অ্যাফেক্টিভিটা ও মেটার কথাও। দেখালেন ভবিষ্যতের প্রযুক্তি কেমন হবে।
এরপর এলেন বাংলাদেশের প্রসঙ্গে। ডিজিটাল বাংলাদেশের অসীম সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটালের প্রতিষ্ঠাতা।
গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন বলেন, বর্তমানে মোবাইলে ইন্টরনেট গ্রাহক সংখ্যাই বেশি। মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা প্রধান সার্ভিস প্রোভাইডার। গ্রাহকের ডায়নামিক চাহিদার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেবা দেওয়াটাই আমাদের চ্যালেঞ্জ। এজন্য আমাদের বিভিন্ন উদ্যোগ রয়েছে।
বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য গ্রামীণফোন জিপি এক্সিলেটর নামে কর্মসূচি শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আমাদের তরুণ উদ্যোক্তাদের ইনোভেশনের ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদান করবে। আমাদের প্রচুর তরুণ উদ্যোক্তা রয়েছেন, তাদেরকে নার্সিং করা প্রয়োজন। তরুণদের মাধ্যমে আমাদেরকে ইমপাওয়ারিং সোসাইটির দিকে যেতে হবে।
ডিজিটাল ইকো সিস্টেমের মধ্য দিয়ে ইন্টারনেটভিত্তিক সমাজ গঠনের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সহযোগী পার্টনার প্রয়োজন। আমরা এটাকে গুরুত্ব দিয়ে চলেছি।
বেসিস সভাপতি ও ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটালের জেনারেল পার্টনার শামীম আহসান বলেন, জীবনে সফল হতে হলে ভিন্নভাবে চিন্তা করা ও উদ্ভাবনের সাহস থাকতে হবে। অপরিচিত পথে চলা ও অসম্ভব জিনিস আবিস্কারের উদ্দীপনা এবং সমস্যাকে জয় করতে হবে। এ সকল গুণের মাধ্যমেইআমাদের তরুণরা এগিয়ে গেলে একদিকে তারা যেমন সফল হবেন, তেমনি ভিন্নধর্মী উদ্যোগের মাধ্যমে দেশ এমনকি বিশ্বকে পাল্টে দেওয়া সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে তাদের সহায়তার জন্য বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ও বড় বড় কোম্পানিকে এগিয়ে আসতে হবে।
‘গ্রোথ ইন দ্য আইসিটি সেক্টর: ইনএভিটেবল, আর ইউ মিসিং ইট?’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখছিলেন শামীম আহসান।
দিনব্যাপী এ আয়োজনে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটালের পার্টনার আবুল নুরুজ্জামান, বস্টন কনসালটিং গ্রুপের পার্টনার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জারিফ মুনির, সেগনেল ভেঞ্চারস প্রাইভেটলিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা হিদেকি ফুজিতা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৬
এমআইএইচ/একেএ/এএসআর
** সম্ভাবনার দুয়ার খোলা ‘ইনোভেশন এক্সট্রিম’