<<আগের অংশ
জানালেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন সে ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য তার উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তিনটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন-
এক. বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলকে ডিজিটাল হাইস্পিড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির আওতায় আনতে হবে।
দুই. দেশের তরুণ প্রজন্ম সবচেয়ে বড় সম্পদ, তারাই আমাদের মূল চালিকাশক্তি।
তিন. ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশন অর্থাৎ দেশের ভেতরেই এমন আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা যা দেশকে বিশ্বের কাছে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবে।
তৃতীয় বিষয়টি নিয়েই প্রথম কথা হলো। জুনাইদ পলক জানালেন- দেশের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি আর সরকারের মধ্যে আন্তরিকতাপূর্ণ বিশ্বাসযোগ্যতা এবং আস্থার সম্পর্ক থাকতে হবে আর সেটা নিশ্চিত করতে গত দুই বছর ধরেই তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বললেন, আশা করি, এটি চমৎকারভাবে এগিয়ে যাবে।
এতে কি ফল বয়ে আনবে? বাংলানিউজের সে প্রশ্নে কোরিয়া ভারত ও জাপানের উদাহরণ টেনে পলক বলেন, ভারতের টাটা বিরলার মতো প্রতিষ্ঠানগুলো দিয়েই দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা আজ এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে। আইটি সেক্টরে ইনফোসিস উইপ্রোর মতো প্রতিষ্ঠান ওদের রয়েছে। আইটি সেক্টরে ভারত সরকার যতজনকে কর্মসংস্থান দিচ্ছে তার চেয়ে অনেক বেশি কর্মসংস্থান এই প্রতিষ্ঠানগুলো দিতে পারছে।
কোরিয়ায় হার্ডওয়ার, অটোমোবাইল ইত্যাদি খাতে হুন্দাই, কিয়া একটি দেশকে বিশ্বের কাছে এই মার্কেটে পরিচিত করে তুলেছে। সেখানে মোবাইল সেট এলজি, স্যামসাং বিশ্বজোড়া মার্কেট পেয়েছে। এছাড়াও গেমিং, অ্যানিমেশনে চমৎকার করছে কোরিয়া। জাপান অটোমোবাইলের পাশাপাশি রোবোটিকস গেমিংসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্বে সেরা।
ফিনল্যান্ডের উদাহরণ টানলেন। বললেন একটি মাত্র ‘অ্যাংরিবার্ডস’ গেমস ও কনসেপ্ট দিয়ে সারা বিশ্ব থেকে ওরা মুনাফা কুঁড়িয়ে নিচ্ছে। এই অ্যাংরিবার্ডস থেকে যা আয় হয় বিশ্বের অনেক দেশের বার্ষিক বাজেটও তত বড় নয়।
তাহলে, তাদের এতো কিছু আছে, আমাদের কী আছে? আমরা কী করেছি? আমাদের কোন জায়গাটি সেরা? নিজেই প্রশ্ন করলেন জুনাইদ পলক। আর নিজেই তার উত্তর দিলেন-