<<আগের অংশ
আমরা এ পর্যন্ত যা করেছি, সেটি হল- কানেকটিভিটিতে সবগুলো উপজেলাকে একটি সিঙ্গেল নেটওয়ার্কের আওতায় এনেছি। এখন ইউনিয়নগুলোকে এর আওতায় আনতে চাই।
দ্বিতীয়ত আইটিশিক্ষিত জনশক্তি তৈরি। একসময় যারা ভাবতো, বিশাল জনগোষ্ঠী আমাদের বোঝা, এখন তারা দেখছে, এটাই আমাদের সম্পদ। আমাদের সোনা রূপা হীরার খনি নাই, মানবখনি আছে। এটা যে কতো গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান, তা সারাবিশ্ব এখন দেখছে। তারা ‘হা’ করে দেখছে, বাংলাদেশ কীভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
পলক বলেন, আমাদের সবচে বড় এ শক্তিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উন্নয়নের চেষ্টা করছি। আইসিটি ডিভিশন থেকে কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং। অনেকের সঙ্গে অনেক আলোচনার পর এখন আমরা ২০০ ঘন্টার প্রশিক্ষিণের একটি মডেল ডিজাইন করা হয়েছে। প্রতিবছর ৫০ হাজার ছেলেমেয়ের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ রয়েছে এর আওতায়।
তরুণদের নিয়ে এই তরুণ মন্ত্রীর উচ্ছ্বাস ও স্বপ্ন অনেকটাই বড়। আর কথায় বোঝা গেলো তাদের নিয়ে কেবল ভাবেনই না বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গিও রয়েছে তার। বললেন- আমাদের দুই রকম ছেলেমেয়ে আছে। অ্যাভারেজ ও অ্যাচিভারর্স। এদের জন্য আলাদা আলাদা কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিতে হবে।
অ্যাভারেজ ছেলেমেয়ে এত সংখ্যায় আছে, তাদের যদি কর্মসংস্থান করা যায়, তারা যদি মাসে ২০০ ডলারও আয় করতে পারে, তাহলে স্বচ্ছল জীবন-যাপন করতে পারবে। তাহলে ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা কঠিন কোনও কাজ হবে না। তাদের শুধু পথটুকু দেখিয়ে দিতে হবে।
মূল কাজ ওদের কাছে হাইস্পিড ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দেওয়া আর বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা।
কিন্তু কি ভাবে? সে প্রশ্নে বললেন, সে দায়িত্ব একা সরকার নিয়ে পারবে না। এ কাজগুলো হতে হবে- পাবলিক ও প্রাইভেট অংশীদারিত্বে।
পলক বলেন, আমরা প্রতিবছর সাড়ে তিনলাখের বেশি গ্র্যাজুয়েট পাই। আইটি সেক্টরে পাই ১০ থেকে ১৫ হাজার গ্রাজুয়েট। তাদের মধ্যে কোয়ালিটি গ্রাজুয়েট ৫ হাজার বলা চলে। যাদের কোন প্রশিক্ষণ প্রযোজন নাই। বাকি ১০ হাজারের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ দিতে হবে, যাতে কেউ বেকার না থাকে।
তাই টপ অাপে আপাতত ২০ হাজার টার্গেট, পরে সংখ্যাটি কয়েক লাখে নিয়ে যাবো। তাহলে ফাউন্ডেশনিং প্রশিক্ষণ ২০ হাজার, টপ অাপ ১০ হাজার, ৬ হাজার ফার্স্ট ট্র্যাক ফিউচার লিডার। দেশ এগুবেই, বললেন ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের এই অন্যতম কারিগর।
আরও সুনির্দিষ্ট করলেন, আগামী তিন বছরে এলআইসিটি প্রকল্পের আওতায় ৪৪ হাজার ছেলেমেয়েকে বিশ্বমানে প্রশিক্ষিত করা হবে। যারা বিশ্বের যেকোন দেশে নিজেদের অবস্থান নিয়ে কাজ করতে পারবে।
এই প্রশিক্ষণে আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং নামে বিশ্বের নামকরা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে সরকারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এদের প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের তরুণেরা যখন কাজে নামবে তখন আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যাবে।