ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) আয়োজনে দ্বিতীয়বারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় হ্যাকাথন-২০১৬।
আগামী ৬ থেকে ৭ এপ্রিল মিরপুরের পিএসসি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হবে।
বিভিন্ন জাতীয় সমস্যার মোবাইল প্রযুক্তিভিত্তিক সমাধানে প্রোগ্রামারদের নিয়ে দেশের সব থেকে বড় এই আয়োজনে সহযোগিতা করবে অন্যতম বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলালিংক জানায়, মূল হ্যাকাথন অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা ছাড়াও বিজয়ীদের জন্য বাংলালিংক নগদ অর্থ পুরস্কার, বিভিন্ন ডিভাইস ও হ্যাকাথন চলাকালীন নানা রকম পুরস্কার দিয়ে অংশগ্রহণতকারীদের উৎসাহিত করবে।
এবারের হ্যাকাথন আরও জমকালো করার জন্য বাংলালিংক মূল ইভেন্টে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আয়োজন করবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলালিংক-এর এমডি এবং সিইও এরিক অস্ বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় আমাদের যে অঙ্গীকার তারই অংশ হিসেবে তরুণ উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করতে এবং মেধাবীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়তে বাংলালিংক এই মহৎ উদ্যোগের গর্বিত অংশীদার হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, দেশের সব খাতের ডিজিটালকরণের জন্য এটি একটি অন্যতম উদ্যোগ। এই অংশগ্রহণকারীরা দেশের ভবিষ্যত, তাদের প্রতিভা এবং নতুনত্বকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ সত্যিই ডিজিটাল প্রজন্মে পরিণত করতে সক্ষম হবে”।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা (এসডিজি)- এর নির্বাচিত ১০টি লক্ষ অর্জনের জন্য আয়োজিত হচ্ছে এবারের জাতীয় হ্যাকাথন। সারা দেশের সেরা ডেভেলপার, ইউএক্স ডিজাইনার, মোবাইলঅ্যাপ ডেভেলপার, সফটওয়ার নির্মাতারা একসাথে হবে বছরের বড় এই কোডিং ফেস্টিভালে। এসডিজির ১০ লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে তা প্রযুক্তি দিয়ে কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তার জন্য তরুণ প্রযুক্তিবিদরা ৩৬ ঘণ্টা একটানা কাজ করে উদ্ভাবন করবেন। সেরা উদ্ভাবনগুলো ভবিষ্যতে পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য আইসিটি ডিভিশন সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা করবে।
জাতীয় হ্যাকাথন ২০১৬ আয়োজন প্রসঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় অবদান রাখছে দেশের তরুণ সমাজ। তাদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে সরকার এমডিজির মতো এসডিডিজি বাস্তবায়নেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করতে চায়।
এই আয়োজন সেই লক্ষ্য ত্বরান্বিত করবে। এজন্য আমরা টানা দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় হ্যাকাথনের আয়োজন করেছি। আশা করছি এই আয়োজনের মাধ্যমে তরুণদের কাছ থেকে প্রাপ্ত আইডিয়াগুলো আমাদের নানা ধরণের জাতীয় সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখবে”।
ইতিমধ্যে ৫৫৩ টি দলের ৩ হাজার ৭০৪ জন অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নিবন্ধন জাতীয় হ্যাকাথনের অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন করেছেন, এদের মধ্যে নির্বাচিত ২৫০ টি চূড়ান্ত দল জাতীয় হ্যাকাথনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
জাতীয় হ্যাকাথনে নিবন্ধনকারী ছাড়াও সরকারের সংশ্লিষ্ট ১০টি মন্ত্রণালয়ের ৪৪ জন বিশেষজ্ঞ নিয়ে ইতিমধ্যে জাতীয় হ্যাকাথনের ডোমেইন এক্সপার্ট দল ও ৯০ জনের টেক মেন্টর প্রস্তুত থাকবে অংশগ্রহণকারীদের উদ্ভাবনী কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য।
বিস্তারিত জানার জন্য ভিজিট করুন- http://hackathon.ictd.gov.bd তে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৫
এমআইএইচ/বিএস