প্রয়োজন যায় হোক, তা মেটাতে বর্তমানে আমরা নির্ভরশীল মোবাইল ফোনে। এই প্রযুক্তিটিই আমাদের সেই সমস্ত প্রয়োজনের যায়গায় পৌছে দেয়।
কিন্তু এ প্রযুক্তির ব্যবহার দিনকে দিন কমে যাওয়ার কারণে সার্চ জায়ান্ট চালু করেছে ফাইবার ফোন। গুগল বলছে, ল্যান্ড লাইন বন্ধের উদ্দেশ্যে ফাইবার ফোন আনা হয়নি, ল্যান্ডফোনের প্রচলিত ফিচার সহ আরো অনেক ফিচারের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এটি। শুধু বাড়িতে থাকা অবস্থায় নয় সবখানেই এটি আপনাকে সংযুক্ত রাখবে।
এ বিষয়ে গুগল ব্লগে লিখেছে, তোমাদের প্রত্যাশিত সবকিছুই ফাইবার ফোনে দেয়া হয়েছে সেইসাথে আরো অনেক কিছু। সহজসাধ্য ফিচার আগে যেমনটাতে মানুষ অভ্যস্ত ছিল।
‘ফাইবার ফোনকে’ ল্যান্ড লাইনের একটি নতুন ধরন বলে মনে করা হচ্ছে। এটা গুগলের প্রজেক্ট ‘এফআই’ এর মতো কাজ করে। মজার বিষয় হলো গুগল ফাইবার ফোন নাম্বার “ক্লাউডে বিদ্যমান” থাকবে। তাই যে কোনো যায়গায় বসে ল্যাপটপ, ট্যাব এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সেবাগুলো উপভোগ করা যাবে। এছাড়া ফাইবার ফোনের মাধ্যমে ভয়েসমেইলে যওয়া সহজ। ফলে ভয়েস মেসেজকে রুপান্তর করে তা টেক্সট বা মেইল হিসেবে পাঠানো যায়।
অন্যান্য তথ্য মতে, আনলিমিটেড (স্থানীয় এবং দেশব্যাপী) সুবিধাটি পেতে প্রতি মাসে ১০ ডলার খরচ করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক কল চার্জ গুগল ভয়েস চার্জের সমান করা হয়েছে। এতে যুক্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে আছে কলার আইডি, কল ওয়েটিং, ৯১১ সার্ভিস, ভয়েসমেইল ট্রান্সক্রিপশন সুবিধা। সেবাটি পেতে ইতিমেধ্যে যাদের ল্যান্ডলাইন আছে তারা এখনকার নাম্বার ব্যবহার করতে পারবে কিংবা নতুন নাম্বার নিতে পারবে।
আপাতত কিছু এলাকায় চালু হলেও আরো কয়েকটি শহরে ফাইবার ফোনের সেবা ছড়িয়ে দেয়ার ইচ্ছা রয়েছে গুগলের, যেখানে ইতিমধ্যে গুগল ফাইবার ইন্সটলড আছে।
উল্লেখ্য, গুগল একাই নয় যারা ল্যান্ডলাইন স্থাপনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যতম বেশীরভাগ স্যাটালাইট এবং ক্যাবল সরবরাহকারী, টেলিকম প্রতিষ্ঠানও এ ধরনের ফোন সার্ভিসের অফার করছে। যদিও ফাইবার ফোনের তুলনায় কিছু ফোন সার্ভিসের চার্জ কম।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৬
এসজেডএম