ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বুধবার থেকে ‘জাতীয় হ্যাকাথন ২০১৬’

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৬
বুধবার থেকে ‘জাতীয় হ্যাকাথন ২০১৬’

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে বুধবার (০৬ এপ্রিল) থেকে রাজধানীর মিরপুরের পুলিশ স্টাফ কলেজ (পিএসসি) কনভেনশ হলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দিনব্যাপী ‘জাতীয় হ্যাকাথন ২০১৬’।  

এবারের হ্যাকাথনের জন্য “কৃষি উৎপাদন, নবজাতক ও শিশু, সড়ক দূর্ঘটনা, শিক্ষায় মানসম্মত শিক্ষক, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, জ্বালানি সক্ষমতা, শহরের পরিবেশ, টেকসই পর্যটন, সামুদ্রিক সম্পদ ও দূর্নীতি” এই দশটি বিষয় নির্বাচন করা হয়েছে।

সারাদেশ থেকে প্রায় ২ হাজার প্রতিযোগি এসব বিষয়ে বিরাজমান যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা প্রযুক্তির মাধ্যমে কীভাবে মোকাবেলা করা যার তার সমাধান খুঁজতে প্রতিদ্বন্দীতা করবে। ৩৬ ঘণ্টাব্যাপী প্রতিযোগিতায় প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা সলিউশনের প্রোটোটাইপ (নমুনা সমাধান) তৈরি করবেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্র মতে, ৬ এপ্রিল সকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতীয় এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস প্রমুখ।

জাতীয় হ্যাকাথন আয়োজন প্রসঙ্গে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় অবদান রাখছে দেশের তরুণ সমাজ। তাদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগাতে সরকার এমডিজির মতো এসডিডিজি বাস্তবায়নেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করতে চায়। এই আয়োজন সেই লক্ষ্য ত্বরান্বিত করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এজন্য আমরা টানা দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় হ্যাকাথনের আয়োজন করেছি। আশা করছি তরুণদের কাছ থেকে প্রাপ্ত আইডিয়াগুলো আমাদের নানা ধরণের জাতীয় সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

এ আয়োজনে সহায়তা করছে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক। এছাড়াও যুক্ত হয়েছে ফেসবুক ও কিউবি।

পুরস্কার হিসেবে আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপসহ সকল বিজয়ীদেন ১০ লাখ টাকা, বাংলালিংকের পক্ষ থেকে প্রত্যেক চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫০ হাজার করে মোট পাঁচ লাখ টাকা এবং প্রথম রানারআপদের প্রত্যেকের জন্য থাকছে একটি করে ট্যাব।

আর ফেসবুক দিচ্ছে ৮০ হাজার ডলারের ফেসবুক স্টার্ট সুবিধা এবং কিউবি পাঁচ মাসের ইন্টারনেট সুবিধাসহ দশ চ্যাম্পিয়ন দলকে দেবে মোডেম।

জাতীয় হ্যাকাথনে প্রায় ১৫০০ জন প্রোগ্রামার, ফ্রিল্যান্সার, শিক্ষার্থী, অ্যাপ নির্মাতা প্রায় ৩৭০টি টিমে বিভক্ত হয়ে অংশগ্রহণ করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২১ মার্চ পর্যন্ত চলে এই কার্যক্রমের নিবন্ধন। ভবিষ্যতে সেরা উদ্ভাবনগুলোকে বাস্তাবায়নের জন্য আইসিটি বিভাগ সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা করবে।

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনার ১০ টি লক্ষ্য ‍অর্জনে আয়োজন করা হচ্ছে এই কোডিং ফেস্টিভালের। বিশ্বজুড়ে হ্যাকাথন ম্যারাথন কোডিং ইভেন্ট হিসেবে পরিচিত। আরো জানা যাবে http://hackathon.ictd.gov.bd/ ঠিকানায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৬
এসজেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।