বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত হয়েছেন ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মানুষকে নিজেদের ব্র্যান্ডে সম্পৃক্ত এবং শ্রেষ্ঠত্বের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষে বিশ্বসেরা এই ক্রিকেট অলরাউন্ডারকে বেছে নিয়েছে হুয়াওয়ে।
ফলে হুয়াওয়ে ব্র্যান্ডকে বিশ্বব্যাপী আরো সমাদৃত করতে প্রযুক্তি অঙ্গন আর ক্রিয়া অঙ্গনের সেরা দুই মিলে পুরো উদ্যমে কাজ করবে এমনই অঙ্গীকার তাদের।
হুয়াওয়ে মনে করে, ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স যেমন পুরো বিশ্বকে মাতিয়ে রেখেছে ঠিক তেমনি হুয়াওয়ে ব্র্যান্ড পণ্যের পারফরম্যান্সও সমান্তরালভাবে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করে চলেছে।
হুয়াওয়ে টেকনলোজিসের (বাংলাদেশ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাও হাওফু বলেন, নতুনত্ব ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি তৈরিতে সবসময় এগিয়ে রয়েছে হুয়াওয়ে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ অপারেটরদের পাশাপাশি সমান্তরালভাবে বাংলাদেশের গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকসহ বিভিন্ন অপারেটরের নেটওয়ার্ক সল্যুশনস সেবা দেয়ার মধ্য দিয়ে নেটওয়ার্ক স্থাপনা ও কারিগরি সেবায় শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছি আমরা। অন্যদিকে গুগলের সঙ্গে মিলে নতুন নেক্সাস সিক্স পি তৈরি করেছি। এছাড়া বিশ্বখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মার্সিডিজ-বেঞ্জ ও অডিসহ বিভিন্ন নামী ব্র্যান্ডের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে গাড়ির ইন্টারনেট অব ভেলিক্যাল (আইওভি) পণ্য তৈরি এবং সরবরাহ করছি।
তিনি আরো জানান, ২০১৪ সালে ইন্টারব্র্যান্ড ইউএস প্রকাশিত জরিপের ফলাফলে হুয়াওয়ে চীনভিত্তিক একমাত্র ব্র্যান্ড যারা বিশ্বের ১০০ শীর্ষস্থানীয় তালিকার ৯৪ থেকে ৮৮তম স্থানে এগিয়ে এসেছে। ২০১৫ সালের মে মাসে ব্র্যান্ডজেড প্রকাশিত জরিপে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্র্যান্ডের তালিকায় হুয়াওয়ে ৭০তম হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে। এমনকি ফাস্ট কোম্পানীজ অ্যানুয়াল লিস্ট-এর শীর্ষ ৫০ উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানের তালিকায় হুয়াওয়ে রয়েছে ১৩তম স্থানে।
তিনি বলে, আজ আমরা এমন একজন মানুষের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছি যে কিনা বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের অনেক মানুষের অনুপ্রেরণা। তিনি যেমন বিশ্বসেরা ঠিক তেমনি হুয়াওয়েও তথ্য প্রযুক্তি ও নেটওয়ার্ক সেবাদানকারী ব্র্যান্ড হিসেবে সেরা, আর এ সহজ সমীকরণ আমরা মিলিয়েছি একসঙ্গে পথ চলা শুরু করার মাধ্যমে।
সাকিব আল হাসান বলেন, হুয়াওয়ের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে আইসিটিতে নতুনত্ব ও উন্নতমান বজায় রেখে আধুনিক ডিভাইস, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ও সেবা নিয়ে এসেছে হুয়াওয়ে। বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ হুয়াওয়ের সল্যুশনস, পণ্য ও সেবা ব্যবহার করছে।
সাকিব বলেন, ক্যারিয়ারের সফলতা বজায় রাখতে এবং ভবিষ্যতে দেশের মানুষের উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিৎ করার পাশাপাশি দেশ ও দেশের বাইরে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৬
এসজেডএম