বিশ্বজয় করার মতো তথ্যপ্রযুক্তি দক্ষতা রয়েছে আমাদের তরুণদেরও “জাতীয় হ্যাকাথন ২০১৬”র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজ (পিএসসি) কনভেনশ হলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক আরো বলেন, হ্যাকাথনের মতো আয়োজনের মধ্য দিয়েই ফেসবুকের মতো সব নামী প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা আর প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় অবদান রাখছে দেশের তরুণ সমাজ।
তাদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সরকার এমডিজির মতো এসডিডিজি বাস্তবায়নেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করতে চায়।
যে লক্ষ্যে আমরা টানা দ্বিতীয়বার জাতীয় হ্যাকাথনের আয়োজন করেছি। সারাবিশ্বে আমাদের এই হ্যাকাথন অন্যতম সেরা হ্যকাথন।
এই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠান ও অংশগ্রহণকারীদের তিনি অভিনন্দন জানান।
বেসিসের পরিচালক আশরাফ আবিরের সঞ্চালনায় হ্যাকাথনে সহযোগী বাংলালিংকের এমডি এবং সিইও এরিক অস্ বলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার জন্য আমাদের যে অঙ্গীকার তারই অংশ হিসেবে তরুণ উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করতে এবং তাদের উজ্জল ভবিষ্যত গড়তে বাংলালিংক এই মহৎ উদ্যোগের অংশীদার হয়েছে।
তার বিশ্বাস দেশের সব খাতকে ডিজিটালাইজড করার এটি অন্যতম উদ্যোগ। এই অংশগ্রহণকারীরা সত্যিই বাংলাদেশকে ডিজিটালে রুপান্তরিত করতে সক্ষম হবে।
আইসিটি বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি মিনা মাসুদ উজ্জামান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ২০ ফ্রেবয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২১ মার্চ পর্যন্ত চলেছে জাতীয় হ্যাকাথনের নিবন্ধন। যার মধ্যে প্রাথমিক আবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচিত ৩৭০টি দলকে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
সরকারের আইসিটি বিভাগের দুই দিনের এ হ্যাকাথনে সারাদেশের প্রায় ২০০০ প্রোগ্রামার, ফ্রিল্যান্সার, শিক্ষার্থী, অ্যাপ নির্মাতা অংশ নিয়েছে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে প্রতিযোগিরা “কৃষি উৎপাদন, নবজাতক ও শিশু, সড়ক দূর্ঘটনা, শিক্ষায় মানসম্মত শিক্ষক, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, জ্বালানি সক্ষমতা, শহরের পরিবেশ, টেকসই পর্যটন, সামুদ্রিক সম্পদ ও দূর্নীতি” নির্বাচিত এই এই দশটি বিষয়ে বিদ্যমান যে সকল প্রতিবন্ধকতা রয়েছে প্রযুক্তির মাধ্যমে মোকাবেলা করতে সলিউশনের প্রোটোটাইপ (নমুনা সমাধান) তৈরি করবেন।
হ্যাকাথনের দশ বিভাগে বিজয়ীরা পুরস্কার হিসেবে পাবেন অর্থ, সম্মাননাসহ আরও নানা সুবিধা। আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপসহ সকল বিজয়ীদের দেওয়া হবে ১০ লাখ টাকা, বাংলালিংক দিচ্ছে প্রত্যেক চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫০ হাজার করে মোট পাঁচ লাখ টাকা এবং প্রথম রানারআপদের একটি করে ট্যাব।
এছাড়া ফেসবুক ৮০ হাজার ডলারের ফেসবুক স্টার্ট সুবিধা এবং কিউবি পাঁচ মাসের ইন্টারনেট সুবিধাসহ দশ চ্যাম্পিয়ন দলকে দেবে মোডেম।
হ্যাকাথন থেকে নির্বাচিত সেরা উদ্ভাবনগুলো বাস্তবায়নের জন্য আগামীতে আইসিটি বিভাগ সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৬
এসজেডএম