ঢাকা: বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) গ্রামীণফোনের ১৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রামীণফোন বোর্ডের সদস্য, সিইও রাজিব শেঠিসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
গ্রামীণফোন বোর্ডের সদস্য এম শাহজাহান এতে সভাপতিত্ব করেন। এজিএম পরিচালনা করেন কোম্পানি সেক্রেটারি হোসেন সাদাত।
সভাপতি তার বক্তব্যে কোম্পানির ওপর আস্থা রাখার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পের সম্ভাবনা, নিয়ন্ত্রণগত অনিশ্চয়তা, সবার কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে গ্রামীণফোনের লক্ষ্য তুলে ধরেন।
অপারেটরটির সিইও কোম্পানির পরিচালনাগত ও আর্থিক সাফল্যের কথা এবং সফলভাবে থ্রিজি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
সভার চেয়ারম্যান বলেন, ভয়েস ও এসএমএস সেবা ছাড়িয়ে নতুন প্রজন্মের টেলিকম প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হতে ২০১৫ সাল জুড়েই আমরা বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছি। গ্রামীণফোনের লক্ষ্য নতুন প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটানো এবং এ প্রযুক্তি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজিটাল সেবাদানের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখা।
গ্রামীণফোন ২০১৫ সালে ৮০ শতাংশ নগদ অন্তবর্তী লভ্যাংশ প্রদান করে। পরে বোর্ড আরও ৬০ শতাংশ নগদ চূড়ান্ত লভ্যাংশ সুপারিশ করে, ফলে মোট লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪০ শতাংশ (শেয়ার প্রতি ১৪ টাকা)।
এজিএম’র অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মধ্যে ছিল ডিরেক্টরস রিপোর্ট ও ২০১৫ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন গ্রহণ, ডিরেক্টর নির্বাচন/পুনঃনির্বাচন এবং অডিটর নিয়োগ।
গ্রামীণফোন শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এটি সপ্তম এজিএম বলে কোম্পানির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএস