গত বছরের (২০১৫) অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্ম-ভিত্তিক সিকিউরিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলো গুগল। নিজেদের সিকিউরিটি ব্লগে পোষ্ট করা হয় দ্বিতীয় এই অ্যান্ড্রয়েড সিকিউরিটি রিপোর্ট।
গুগলের আশা, রিপোর্টটিতে স্বচ্ছতা এবং খোলাখুলি আলোচনা প্লাটফর্মকে আরো বেশী নিরাপদ করে তুলবে।
এ বিষয়ে প্রকাশিত অন্যান্য তথ্য মতে, রিপোর্টটির রুপরেখায় অ্যান্ড্রয়েড নেটওয়ার্ক মাধ্যমকে অত্যাধিক সুরক্ষিত হিসেবে চিহিৃত করার চেষ্টা করেছে গুগল। ডিভাইসগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং পর্যবেক্ষণ করে তৈরি করা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ক্লাউড-বেজড এবং ডিভাইসে গুগল মোবাইল সার্ভিস ১ বিলিয়নেরও বেশি ডিভাইসে ব্যবহার হচ্ছে। যা কিনা সার্চ জায়ান্টকে ডিভাইসে সিকিউরিটি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রোভাইডারের খ্যাতি এনে দিয়েছে।
গুগলের মোবাইল সার্ভিসগুলো “স্মার্ট লক, ডিভাইস ম্যানেজার, সেফ ব্রাউজিং, সেফটি নেট এবং ভেরিফাই অ্যাপস”। এছাড়া সিস্টেমে গ্র্যানিউলার অ্যাপ ব্যবহারের অনুমতি এবং অ্যাপস সেন্ডবক্সিং বা সত্যতা পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা থাকায় বিভিন্ন অ্যাপের মধ্যে থেকে ক্ষতিকর অ্যাপটি পৃথক করা যায়।
২০১৪ সালেও ডিভাইসগুলোয় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সমস্যা খুটিয়ে দেখতে মেশিন লার্নিং চালু করে গুগল। যা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিকর সক্রিয় উদ্দেশ্যকে দমনে সক্ষম। বিদজ্জনক বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পিএইচএ অর্থাৎ সম্ভাবনাময়ী ক্ষতিকর অ্যাপস, এগুলো অঅনুমোদিত তথ্য সংগ্রহ এবং ক্ষতিকর কনটেন্ট ডাউনলোড করে।
আর অ্যান্ড্রয়েড ভেরিফাই অ্যাপস সার্ভিস যা থার্ড পার্টি অ্যাপ স্টোরগুলো থেকে ডাউনলোডে বাধা দেয়, সেফটিনেট ব্যবহারকারীদের নেটওয়ার্ক-বেজড আক্রমন থেকে রক্ষা করে।
গুগলের মতে, গত বছরটা সিকিউরিটির অনেক প্রসার ঘটেছে। কোটি কোটি ব্যবহারকারী আজ সেফ ব্রাউজিং এর কারণে নিরাপদ এবং রিস্কি ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার থেকে।
উল্লেখ্য, অ্যান্ড্রয়েড গুগলের ‘ভালনারেবিলিটি রিওয়ার্ড প্রোগ্রামের’ অংশ। এখন পর্যন্ত এ কাজের সাথে সংশ্লিষ্টদের ২ লক্ষ ডলারের বেশী দিয়েছে গুগল। আর গুগলের মানথলি পাবলিক সিকিউরিটি আপডেট পোগ্রাম চালু হয়েছে নেক্সাস ডিভাইসে, খুব শীঘ্রই এটি আরো ডিভাইসে নিয়ে আসার প্রত্যাশা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৬
এসজেডএম