উপমহাদেশের অন্যতম সফল জ্যোতির্বিদ রাধাগোবিন্দ চন্দ্র। বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি) এই জ্যোতিবিদের জীবন কাহিনী এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানে তাঁর অসাধারণ কাজের স্মরণে ২০০৯ সাল থেকে আয়োজন করে আসছে বিজ্ঞান বক্তৃতা।
‘সুপারনোভা: ব্রহ্মাণ্ডের প্রদীপ’ শিরোনামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি লেকচার থিয়েটারে সোমবার (২৫ এপ্রিল) ৩য় রাধাগোবিন্দচন্দ্র স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করে (এসপিএসবি)। বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি ও ইউনিভার্স অ্যাওয়ারনেসের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান বক্তৃতায় বক্তব্য রাখেন চীনের পার্পল মাউন্টেন অবজারভেটরিতে প্রেসিডেন্টস ইন্টারন্যাশনাল ফেলো ড. সৈয়দ আশরাফ উদ্দিন। সাম্প্রতিক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ কৃষ্ণ বস্তুর জরিপেও কাজ করছেন তিনি।
মহাবিশ্বে কোথাও কোথাও হঠাৎ করেই জ্বলে উঠে সুপারনোভা। তারকাদের এই বিস্ফোরণ একটি গ্যালাক্সির সামগ্রিক উজ্জ্বলতাকেও হার মানায়। বিশেষ এক ধরনের সুপারনোভা ব্যবহার করে জ্যোতির্বিদরা আবিষ্কার করেন যে, আমাদের মহাবিশ্বের প্রসারণ বেগ ত্বরিত হচ্ছে। এই ত্বরিত প্রসারণের কারণ কী, তা এখনো অজানা। সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ বলছে যে, একটি অজানা ধ্রুব শক্তি, যা ডার্ক এনার্জি নামে পরিচিত,এই ত্বরণের কারণ। কিন্তু এই অজানা শক্তির মাত্রা পদার্থবিজ্ঞানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সুপারনোভার আদর্শ উজ্জ্বলতাকে কাজে লাগিয়ে এবং মহাবিশ্বের প্রসারণের ইতিহাস বিস্তারিতভাবে জেনে, মহাবিশ্বের ত্বরিত প্রসারণের কারণ জানা যাবে বক্তৃতায় এসব বিষয় তুলে ধরেন ড. সৈয়দ আশরাফ।
পাশাপাশি সুপারনোভার গঠন ও বিবর্তন, পৃথিবী থেকে সুপারনোভা খুঁজে বের করার পদ্ধতি, একাজে ব্যবহৃত টেলিস্কোপ, বর্তমান গবেষণা, আমাদের মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। উপস্থিতদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আরশাদ মোমেন এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও এসপিএসবির সাধারণ সম্পাদক ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রাধাগোবিন্দ চন্দ্রের জীবনী পাঠ ও স্মারক বক্তৃতার ইতিকথা নিয়ে বলেন ড. ফারসীম কথা বলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৬
এসজেডএম