ঢাকা: নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আবারও নতুন সুযোগ নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন ও এসডি এশিয়া। যারা ফান্ডের অভাবে কিংবা সঠিক মেন্টর না থাকায় টেক ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন না তাদের জন্য এ সুযোগ।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৫ সালে এসডি এশিয়া এবং গ্রামীণফোন চালু করেছিল ‘জিপি এক্সিলেরেটর’ প্রোগ্রাম। এ প্রোগ্রামের দ্বিতীয় পর্বের বাছাই শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, অনেক টেক উদ্যোক্তাই ব্যবসা শুরুর মাঝপথে এসে প্রয়োজনীয় ফান্ডের অভাবে পিছিয়ে যান। কেউবা সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। তাদের জন্যই এসডি এশিয়া এবং গ্রামীণফোন নিয়ে এসেছে এক্সিলেরেটর প্রোগ্রাম।
এসডি এশিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা সামাদ মিরালি প্রোগ্রাম সম্পর্কে বলেন, চার মাস ধরে প্রথম ব্যাচের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছি। এখন জিপি এক্সিলেরেটর টিম নতুন পাঁচটি স্টার্টআপ নিয়ে কাজ শুরু করার জন্য মুখিয়ে আছে। আশা করছি নতুন ব্যাচ আরও সুন্দর করে শুরু করতে পারবো। নতুন স্টার্টআপদের সঙ্গে কাজ করতে এখন আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।
‘জিপি এক্সিলেরেটর’ প্রোগ্রামের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ফয়সাল কবির জানান, সেরা দলের চেয়ে উপযুক্ত দলই বেছে নেওয়ার লক্ষ্য আমাদের। প্রেজেন্টেশন পর্ব থেকে নতুন প্রোডাক্ট তৈরি পর্যায়ে নিয়ে আসছে এসব স্টার্টআপ। অনেক ভালো আইডিয়া হয়েও কাস্টমারদের সেরা সেবা দিতে পারছে কিনা সেটাও আমরা চিন্তা করে দেখছি। নতুন ব্যাচের ক্ষেত্রে সেসব দিকও বিবেচনা করা হবে।
নতুন সব টেক স্টার্টআপদের সুযোগ করে দেবে ‘জিপি এক্সিলেরেটর’ প্রোগ্রাম। দ্বিতীয় পর্বের ‘জিপি এক্সিলেরেটর’ প্রোগ্রামের জন্য সেরা ৫টি স্টার্টআপ বাছাই কর হবে। সেই প্রক্রিয়ার শেষে ডেমোডে’তে তাদের প্রজেক্টগুলো বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরা হবে। নির্বাচিত প্রকল্পগুলো প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য ১০ লাখ টাকা পাবেন।
এছাড়াও তারা গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় ‘জিপি হাউজে’ তাদের প্রকল্প নিয়ে কাজ করার জন্য অফিস স্পেস পাবেন।
এ প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য হবে সম্ভাবনাময় টেক স্টার্টআপগুলো সঠিক মেন্টরশিপ এবং ফান্ডের মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া। টেক নিয়ে যেকোনো স্টার্টআপই এ প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সেরা ৫টি স্টার্টআপ খুঁজে নেওয়ার দায়িত্ব যৌথভাবে পালন করবে এসডি এশিয়া এবং গ্রামীণফোন।
‘জিপি এক্সিলেরেটর’ প্রোগ্রামের দ্বিতীয় পর্বের বাছাই প্রসঙ্গে এসডি এশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মোস্তাফিজুর রাহমান খান জানান, এবারের ব্যাচে পুরো দল হিসেবে যেসব স্টার্টআপ কাজ করতে পারছে তাদেরকেই বাচাই করতে চাই। যাদের সুগঠিত বিজনেস মডেল আছে এবং ব্যবসা সফল হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে তারাই এগিয়ে থাকবে।
প্রোগ্রামের ভিশন সম্পর্কে এসডি এশিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা ফায়াজ তাহের বলেন, আমাদের ভিশন হচ্ছে স্টার্টআপগুলোকে তাদের সম্ভাব্য কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কারণ কাস্টমাররাই ব্যবসার সেরা বিনিয়োগকারী।
২০১৩ সালে বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি দিয়ে মোস্তাফিজুর রাহমান খানের হাত ধরে যাত্রা শুরু করেছিল এসডি এশিয়া। সেই ডকুমেন্টারি থেকেই সাড়া পৃথিবী থেকে নয় হাজার মার্কিন ডলার সমমানের ফান্ড সংগ্রহ করেছিল এসডি এশিয়া। সেখান থেকেই বাংলাদেশের টেক স্টার্টআপগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ শুরু করে এসডি এশিয়া। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল নেটওয়ার্ক গ্রামীণফোন যোগ দেয় এসডি এশিয়ার এ উদ্যোগের সঙ্গে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএস