ঢাকা: বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধনে যেসব সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেসব সমস্যার সমাধানও মাথায় আছে।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর গুলশান এলাকায় হোটেল ওয়েস্টিন ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) ‘বাংলাদেশে টাওয়ার ব্যবসার সম্ভাবনা’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে।
এসময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শওকত মোস্তফা, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, মহাপরিচালক এমদাদুল বারী, অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ’র (অ্যামটব) মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির, গ্রামীণ ফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফায়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেনসহ বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখনে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে যে মতামতগুলো এসেছে, সেগুলো বিশ্লেষণ করে জানাবো সমাধান কি হবে।
এদিকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের শেষ সময়ে এসে গ্রাহক চাপ বাড়ায় অচল হয়েছে পড়ে এনআইডি সার্ভার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই সার্ভারে সমস্যা দেখা দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন মোবাইল ফোন গ্রাহকরা। শুক্রবার সকালেও কিছু সময় নিবন্ধন বন্ধ রাখতে হয়।
এ প্রসঙ্গে তারানা হালিম বলেন, ব্যান্ডউইথজনিত কারণে সমস্যা হতে পারে, তবে বেশি সময় সার্ভার ডাউন থাকছে না।
আসলে মোবাইল অপারেটরটা ভাবেননি শেষ মুহূর্তে এত বেশি চাপ হবে। যারা এই গরমের মধ্যে লাইন ধরে সিম-রিম পুনঃনিবন্ধন করাচ্ছেন তাদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, আরও ১ কোটি ২২ লাখ গ্রাহকের আঙ্গুলের ছাপ আংশিক না মেলায় যেগুলো পেন্ডিং অবস্থায় রয়েছে। এসব সমস্যাও দ্রুত সমাধান করা হবে।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর পর সাড়ে চার মাসে নির্ধারিত সময় ৩০ এপ্রিল (শনিবার) রাত ১০টায় অপারেটরদের সব কাস্টমার কেয়ার সেন্টার ও রিটেইলার পয়েন্ট বায়োমেট্রিক ডিভাইসসহ সিম-রিম নিবন্ধন পুনঃনিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হচ্ছে।
এখনও বাকি রয়েছে প্রায় চার লাখ গ্রাহকের সিম-রিম পুনঃনিবন্ধন। শনিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে সংবাদ সম্মেলনে পুনঃনিবন্ধনের সময় বাড়ছে কিনা, তা ঘোষণা দেবেন প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৬/ আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা.
এমআইএইচ/এটি