ঢাকা: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক নিয়ে এসেছে কল সেন্টারভিত্তিক মোবাইল কাউন্সেলিং সার্ভিস ‘বাংলালিংক মাইন্ড কেয়ার’।
এর মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের মানসিক সমস্যা বা দৈনন্দিন সমস্যা থেকে উদ্ভূত যে কোন মানসিক চাপের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ পরামর্শক ও ক্লিনিক্যাল মনোবিজ্ঞানীদের সাথে সরাসরি কথা বলে তাদের কাছে পরামর্শ ও করণীয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বাংলালিংক মাইন্ড কেয়ার একটি সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক মোবাইল কল সেন্টার কাউন্সেলিং সেবা, যেখানে গ্রাহকরা বিশেষজ্ঞ পরামর্শকদের সেবা নিতে বিনামূল্যে ২০ মিনিট কথা বলতে পারবেন।
মঙ্গলবার (১০ মে) বাংলালিংক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কল সেন্টারটিতে গ্রাহকদের কাউন্সেলিং সেবা প্রদানের জন্য থাকছে বিশেষজ্ঞ মানসিক পরামর্শক, ক্লিনিক্যাল মনোবিজ্ঞানী ও মনস্তত্ত্ববিদ।
এই সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা যে কোনো সময় মোবাইল ফোনে বিশেষজ্ঞদের সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে মানসিক চাপ-দুশ্চিন্তা নিরাময়, বিভিন্ন মানসিক সমস্যা সম্পর্কে পরামর্শ, মেমরি ও আইকিউ বৃদ্ধিকরণ, শিশু মনস্তত্ত্ব বিকাশ, মানসিক বৃদ্ধি এবং বেড়ে ওঠা নিয়ে অভিভাবকদের জন্য পরামর্শ, মাদকাসক্তি নিরাময়ের ব্যাপারে কাউন্সেলিং সেবা পাবেন।
‘বাংলালিংক মাইন্ড কেয়ার’ সার্ভিসটি সাবস্ক্রিপশন করতে গ্রাহকদের মোবাইল থেকে ৭৮৯৯ নম্বরে ডায়াল করতে হবে। এর সাবস্ক্রিপশন ফি প্রতি সপ্তাহে ১৫ টাকা (ভ্যাট, এসডি এবং এসসি ছাড়া)।
এছাড়াও কাউন্সেলিং গ্রহণের পাশাপাশি গ্রহকরা *৭৮৯৯# ডায়াল করে এসএমএস টিপসের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ নিতে পারবেন।
বিশেষজ্ঞদের দ্বারা বিভিন্ন মানসিক সমস্যার জন্য কাউন্সেলিং দেবার পাশাপাশি ‘বাংলালিংক মাইন্ড কেয়ার’ সার্ভিসটি শিশুদের অটিজম সম্পর্কে প্রচারণা ও সচেতনতা সৃষ্টি এবং বয়ঃসন্ধিকালীন বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও গ্রাহকদের কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করবে।
বাংলালিংকের হেড অব কনটেন্ট, মার্কেটিং জিয়াউল হক শিকদার বলেন, বাংলালিংকের ‘নতুন কিছু করো’ অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে আমরা সব সময়ই উদ্ভাবনী পণ্য ও সেবা নিয়ে আসার প্রতি গুরুত্ব দেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যৌথভাবে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, দেশের প্রায় ১৬.০৫ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ বিভিন্ন ধরনের মানসিক অসুস্থতায় ভোগে। দেশের মানুষদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সেবা দিতে প্রতি এক লাখ জনের কাজ করছে মাত্র ০.৪৯ জন বিশেষজ্ঞ।
তিনি বলেন, এই পরিসংখ্যান দেখেই আমারা এই উদ্যোগ নিতে উৎসাহী হয়েছি। আমরা গ্রাহকদের এ ধরনের সেবা দিতে পেরে সত্যিই আনন্দিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৬
এমআইএইচ/এমজেএফ/