এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের ৭ টি বিভাগে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফেস্টের আয়োজন করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স ও ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
আগামী ১৩ মে থেকে ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে দুই দিনের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রথমবার আয়োজিত এই উৎসবের পর্দা নামবে।
ইয়ুথ ফেস্ট হলো বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের একটি উদ্যোগ যা কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্লোবাল মার্কেটের জন্য প্রস্তুত করার অনন্য চেষ্টা।
দেশের ৭ টি বিভাগে “ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট এবং রংপুর” ইয়ুথ ফেস্ট নিয়ে নানা ধরনের কর্মসূচি সম্পন্ন করা হয়েছে।
৭ টি আঞ্চলিক রাউন্ডের ৪২টি বিজয়ী দল গ্র্যান্ড ফিনালেতে ৭ টি ক্যাটাগরিতে “সামাজিক সংকট, প্রযুক্তি, নতুন পণ্য, নতুন আইডিয়া, বাণিজ্যিক আইডিয়া, টেক-ভিত্তিক বাণিজ্যিক আইডিয়া, ২০২৫ সালের আঞ্চলিক অর্থনীতির সম্ভাব্য ধারনার উপড় পেপার প্রেজেন্টেশন এবং নারী উদ্যোক্তা) অংশগ্রহন করবে।
এখান থেকে বিজয়ী ৭টি দল চলতি বছর সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত স্পাইকস এশিয়াতে অংশগ্রহনের সুযোগ পাবে, যা এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ ক্রিয়েটিভ ফেস্টিভ্যাল হিসেবে পরিচিত।
এছাড়াও গ্র্যান্ড ফিনালে এবং গালা রাউন্ডে থাকছে বেশ কয়েকটি ইন্টারেক্টিভ নলেজ এবং এন্টারটেইনমেন্ট সেশন।
লেকচার সিরিজে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিইও থেকে শুরু করে শিক্ষাবিদসহ ৪০ জনেরও বেশি খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞরা শোনাবেন অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া শিক্ষার কথা।
লেকচার সিরিজের বক্তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হচ্ছেন- অ্যাডকম লিমিটেডের চেয়ারপারসন গীতিআরা সাফিয়া চৌধুরী, এসসিবি এর সিইও আব্রার এ আনোয়ার, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সনিয়া বশির কবির, গ্রে ঢাকার ম্যানেজিং ডিরেক্টর গাওসুল আলম শাওন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, টেলেনর হেলথ এর সিইও সাজিদ রহমান, হাফ স্টপ ডাউন এর ডিরেক্টর আমিতাভ রেজা চৌধুরী, গ্রামীনফোনের সিএমও ইয়াসির আজমান, ঢাকা নর্থ সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র আনিসুল হক, ঢাকা ইউনিভার্সিটি আইবিএ এর প্রোফেসর ডক্টর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার, ওমেন লিডারশীপ এর প্রেসিডেন্ট এবং ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট নাজিয়া আন্দালিব প্রেমা প্রমুখ।
চাকুরিদাতা ১৫টি প্রতিষ্ঠানের “ইউনিলিভার, গ্রামীনফোন, এইচএসবিসি, রেকিট বেনকিসার, নেসলে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো, সিম্ফনি, এশিয়াটিক ৩৬০, স্বপ্ন এবং এসএসডি টেক” পক্ষে থাকছে ক্যারিয়ার টক সেশন। ইন্টারেক্টিভ এই সেশনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করে অজানা বিষয়গুলো জানতে পারবে।
“ইনোভেশন হাব” শ্লোগানে অংশগ্রহনকারী তরুণদের জন্য আরো রয়েছে স্টার্ট আপ শোকেসিং, বিশেষ ক্যানস লায়ন্স সেমিনার ২০১৫, চারুকলা ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের কন্সেপচুয়াল আর্ট ডেভলপমেন্ট, শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিভিত্তিক ইনোভেশন শোকেসিং, বাঘ রক্ষার উপর ওয়াইল্ডটিমের শোকেসিং, আইএফসি‘র বাংলাদেশের পানি সুরক্ষায় চ্যালেঞ্জ এবং গ্রামীনফোনের গেমিং কর্নার সহ নানান ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের সুদুর প্রসারি এই উদ্যোগের আওতায় তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার প্রচেষ্টাকে গতিশীল রাখার প্রত্যয়ে শিঘ্রই দেশের ছয়টি বিভাগে ইনোভেশন হাব খোলার পরিকল্পনা করেছে।
ডিসিসিআই আয়োজিত এই ফেস্টে সহযোগি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছ সিম্ফনি, সজীব গ্রুপ, ঢাকা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং শিফট, ডিজিটাল পার্টনার গ্রামীনফোন, অফিসিয়াল পার্টনার ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স সহ অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৬
এসজেডএম