সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) ফোরামে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও অনলাইন নির্ভর ব্যবসায়ের অগ্রযাত্রা, সক্ষমতা ও সম্ভাবনাকে তুলে ধরেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।
তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে ই-ব্যবসা অর্থনীতিতে কি ধরণের ভূমিকা রাখছে সে বিষয়ে আয়োজিত সেশনে এসব তথ্য তুলে ধরেন বেসিসের যুগ্ম-মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল।
এসময় তিনি তথ্যপ্রযুক্তির পাশাপাশি বাংলাদেশের ই-কমার্সের কতটা উন্নতি হয়েছে তা অবগত করতে বছরে ২০০ কোটির বাজার তৈরির কথা উপস্থাপন করেন এবং সম্ভাবনময় খাতটিতে অংশগ্রহনকারী বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
তিনি জানান, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বস্বীকৃত। বিশ্বের শীর্ষ আইটি কোম্পানি ও বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে। সরকারের সাথে যৌথভাবে প্রয়োজনীয় পলিসি তৈরি, প্রশিক্ষিত দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধি ও তাদের মানোন্নয়ন, সরকারের বিভিন্ন খাতের তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত ও আন্তর্জাতিক বাজারে ব্র্যান্ডিং করছে বেসিস।
বর্তমানে টেলিকম ছাড়াই বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি বাজার প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলার। ২০২১ সাল নাগাদ এই খাতের রফতানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
ই-লেনদেনে সম্পর্কে তিনি আরো জানান, প্রতিমাসে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে এ খাতে। বাংলাদেশের প্রায় ১৩ কোটি মোবাইল ব্যবহারকারী ও প্রায় ৬ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ই-ব্যবসায় আগামী কয়েক বছরে জাতীয় অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলংকা এবং জাম্বিয়ার ব্যবসায় অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়। ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার (আইটিসি) এর জ্যেষ্ঠ পরামর্শক জেমস হোয়ির সঞ্চালনায় এতে অন্যান্য বক্তরা ছিলেন ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স ফর ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের টর্বজন ফ্রেডরিকসন, ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের পল ডনোহি, শ্রীলংকার কাপরুকা ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ডুলিথ হেরাথ ও জাম্বিয়ার ইমপ্যাক্ট এন্টারপ্রাইজের ডিমিট্রি জ্যাকোরভ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৬
এসজেডএম