যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের’ সেমিফাইনালের পর ফাইনালের শীর্ষ ৫’এ অবস্থান করছে বাংলাদেশি প্রযুক্তি প্রকল্প ‘মার্শিয়ান ওয়েসিস’। যা গোটা জাতির জন্য আনন্দ এবং গর্বের।
‘মার্শিয়ান ওয়েসিস’র মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে প্রয়োজন আরো একটু সমর্থন। কারণ অনলাইন ভোটের মাধ্যমে ৫টি প্রকল্প থেকে চূড়ান্ত বিজয়ী নির্বাচিত হবে।
এ বিষয়ে বেসিসের পরিচালক ও নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু বলেন, সমগ্র এশিয়ার মধ্য থেকে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও জাপানের দুটি প্রকল্প সেমিফাইনালের জন্য মনোনীত হয়। এখন বিশ্বের ২২০টিরও বেশি শহরকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ শীর্ষ ৫’এ যেতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশে জন্য এটা গর্বের বিষয় এবং প্রকল্পটিকে বিজয়ী করার মোক্ষম সময় এখন। তাই সবাইকে ‘মার্শিয়ান ওয়েসিস’এ ভোট প্রদানের আহ্বান করছি।
মার্শিয়ান ওয়েসিস’কে ভোট দিতে প্রথমে https://2016.spaceappschallenge.org/ সাইটে গিয়ে বিনামূল্যে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
এরপর https://2016.spaceappschallenge.org/challenges/mars/simspace/projects/martianoasis লিংকে গিয়ে ভোট দিতে হবে। একটি অ্যাকাউন্ট থেকে দিনে একবার ভোট দেয়া যাবে। এভাবে ২০ মে পর্যন্ত প্রতিদিন একবার করে ভোট দেয়া যাবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পর্যায়ে পিপলস চয়েস ক্যাটাগরিতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত হয়েছিলো ‘মার্শিয়ান ওয়েসিস’।
সম্প্রতি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশে আঞ্চলিক পর্বের এই আয়োজন করে। বাংলাদেশের তিনটি অঞ্চলে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী) স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৬ এর আঞ্চলিক পর্ব প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ঢাকার ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে (আইইউবি) চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
বেসিসের এই আয়োজনের সহযোগিতায় ছিলো বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম ও ক্লাউডক্যাম্প বাংলাদেশ। পৃষ্ঠপোষকতা করেছে বাগডুম ডটকম, পিবাজার ডটকম ও পিপলএনটেক এবং অ্যাকাডেমিক পার্টনার হিসেবে ছিলো ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ও চট্টগ্রাম ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৬
এসজেডএম