ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৬
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ

ঢাকা: উদীয়মান বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর দিকে আন্তর্জাতিক হ্যাকাররা প্রতিনিয়িত নজরদারি বাড়াচ্ছে। তাই দেশীয় অর্থনীতিকে নিরাপদ রাখতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাংকগুলোকে আরো বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।

 

প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে বাংলাদেশের আইটি প্রযুক্তিবিদদের টিকে থাকতে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী সফটওয়ার তৈরির আহবান জানানো হয়।

শনিবার (২১ মে) হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিজটেক বিটুবি কনফারেন্সে এসব পরামর্শ দেন তারা।  

স্থানীয় বাজারে সফটওয়ার ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার বাজার সম্প্রসারণ, প্রাইভেট সেক্টর অটোমেশন বা ডিজিটাইলাজেশন ত্বরান্বিত করা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক বাজারের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)  বিভাগের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বেসিস দেশের প্রথম ভিন্নধর্মী এই বিজনেস সল্যুশন প্রদর্শনী আয়োজন করে। যেখানে ব্যাংকিং ও ফিন্যান্স, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও তৈরি পোশাক খাতের ওপর ইন্ডাস্ট্রি পেপার উপস্থাপন, আলাদা চারটি প্যানেল আলোচনা, প্রদর্শনী এবং বিটুবি মিটিংয়েরও আয়োজন করা হয়।

বিটুবি কনফারেন্স চলবে রোববার (২২ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত।

সভায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিআই’র সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ জানান, প্রযুক্তিবিদদের আস্থার ওপর ভিত্তি করেই এদেশের আইটি খাতের নিরাপত্তা বাড়বে। এজন্য প্রযুক্তিবিদ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক বাড়াতে হবে।

আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি হোসেন খালেদ, সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা চৌধুরী।

উদ্বোধনী পর্ব সঞ্চালনা করেন বেসিসের যুগ্ম সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল।

তপন কান্তি বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে উদীয়মান একটি দেশ। কিন্তু এখানকার আইসিটি খাত শক্তিশালী না হওয়ায় বিদেশি হ্যাকারদের নজর আমাদের ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর পড়ছে। যার সর্বশেষ শিকার বাংলাদেশ ব্যাংক। কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের নামও শোনা যাচ্ছে। এসব হ্যাকার চক্রের হাতে থেকে দেশের অর্থনীতিকে রক্ষা করতে প্রযুক্তিখাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

আর এ কাজে সরকারের পাশাপাশি ব্যাংকসহ সকল প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানকে অটোমেশনের ভেতরে আনার পরামর্শ দেন বক্তারা।

হোসেন খালিদ বলেন, আইসিটি মন্ত্রণালয় কেন সরকারের সকল প্রতিষ্ঠানকে অটোমেশনের আওতায় আনছে না। কাজেই যদি সরকারের আইসিটি মন্ত্রণালয় করতে না পারে তাহলে বাইরের কাজ করবে কীভাবে?

তিনি বলেন, যতোক্ষণ পর্যন্ত সরকারের সকল প্রতিষ্ঠান ডিজিটাইলাজেশনের অন্তর্ভুক্ত না হবে, ততোক্ষণ পর্যন্ত ঘুষ-দুর্নীতি এদেশে চলতেই থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৬
জেপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।