ঢাকা: মোবাইল ফোন অপারেটর রবি’র সিম জালিয়াতি করে বিকাশের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সেই সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা ছিল না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসি বলছে, বিকাশের সহায়তা ছাড়া একাজ করা সম্ভব ছিল না।
বুধবার (২৫ মে) বিটিআরসি কার্যালয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের সমসাময়িক অবস্থা ও গ্রাহকের অভিযোগ জানাতে একটি শর্টকোড উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান বিটিআরসি মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমদাদ উল বারী।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বিকাশের দু’জন এজেন্ট ধরা পড়েছে। বিকাশ যে ধরনের কাজ করে, ট্রানজেকশন হলে পিনকোড দরকার হয়, বিকাশ এ পিনকোড দেয়, এখানে মোবাইল অপারেটরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
তিনি বলেন, পিনকোড ছাড়া ট্রানজেকশন সম্ভব নয়। এ এজেন্ট গ্রাহকের অসাবধানতার কারণে পিনকোড জেনেছে। পরবর্তী সময় গ্রাহকের সিম প্রতিস্থাপন করেছে।
তিনি আরও বলেন, যে গ্রাহক অভিযোগ করেছেন তার সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা ছিল না, এজেন্টের পক্ষে তা রিপ্লেস করা সম্ভব ছিল। বিদ্যমান আইনে সিম রিপ্লেস হলে ৪৮ ঘণ্টা বিকাশ সার্ভিস বন্ধ থাকে, যাতে বিকাশ সার্ভিস যারা দেয় তারা এটাকে নিবন্ধন করে নিতে পারে। আমাদের ধারণা, বিকাশের সহায়তা ছাড়া একাজ করা সম্ভব ছিল না।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিম জালিয়াতি করে বিকাশের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গত ২২ মে চট্টগ্রামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সিমটির প্রকৃত মালিক ফের ওই সিম তোলার পর দেখতে পান, তার বিকাশ অ্যাকাউন্টে থাকা ২০ হাজার ৪০০ টাকা তোলা হয়েছে। ওই দু’জন আগে বিকাশ এজেন্ট ও সিম ডিস্ট্রিবিউশন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন বলে জানায় পুলিশ।
বায়োমেট্রিকের সুবিধা তুলে ধরে এমদাদ উল বারী বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন হওয়ায় খুব সহজেই চিহ্নিত করা যাচ্ছে, যে এজেন্ট সিম রি-রেজিস্ট্রেশন করেছে তার ফিঙ্গার প্রিন্ট যাচাই করে তাকে ধরা হয়েছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খান, মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইকবাল আহমেদ, সচিব সরওয়ার আলম, অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব) মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবিরসহ অন্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএস