ঢাকা: জিরো আওয়ার, অর্থাৎ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের পর অনিবন্ধিত সিম বন্ধ শুরু হয়ে গেছে।
'দুঃখিত, এই নম্বরে আপনার কলটি সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয়'- রাত ১২টার পর অনিবন্ধিত সিম দিয়ে কল করলেই গ্রাহক এমন ভয়েস শুনতে পাচ্ছেন তার মোবাইল সংযোগ থেকে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, রাত ১২টার পর সব অনিবন্ধিত সিম বন্ধ করে দেওয়া শুরু করে দিয়েছে মোবাইল অপারেটরগুলো।
অবশ্য সিমগুলো বন্ধ করতে দুই দিনের মতো সময় লাগতে পারে জানিয়েছে অপারেটরগুলো। অনিবন্ধিত সিমগুলো দুই মাস বন্ধ রেখে আগস্ট থেকে গ্রাহকদের কেনার সুযোগ রাখা হলেও সোমবার (৩০ মে) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এক নির্দেশনায় জানিয়েছিলো, ১ জুন থেকে ৪৫০ দিন পর্যন্ত গ্রাহক নির্ধারিত ফি দিয়ে সিম চালু করতে পারবে গ্রাহকরা। সেক্ষেত্রে তাকে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে।
৩১ মে রাত ১২টার আগ পর্যন্ত সব অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার এবং রিটেইলার পয়েন্টগুলোতে গ্রাহকদের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
তবে নেটওয়ার্ক জটিলতায় সিমের বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনে বেগ পেতে হয়েছে গ্রাহকদের।
৬টি অপারেটরের ১৩ কোটি ২০ লাখ সিমের মধ্যে সাড়ে ১০ কোটির ওপরে সিম পুনঃনিবন্ধিত হয়েছে শেষ সময় পর্যন্ত।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালুর পর আঙুলের ছাপ দিয়ে পুনঃনিবন্ধনের সময়ের পর অর্থাৎ ১ জুন থেকে বন্ধ সংযোগগুলো চালু করতে নতুন সিম কেনার সমপরিমাণ অর্থ গুণতে হবে গ্রাহকদের।
নিয়মানুযায়ী, সিম নিস্ক্রিয় হয়ে গেলে ১৫ মাস পর্যন্ত গ্রাহক এই ফি দিয়ে সংযোগ চালু করতে পারবেন। পরবর্তীতে তিন মাসের নোটিশ দিয়ে অপারেটরগুলো বন্ধ সিম নতুন গ্রাহকের কাছে বিক্রি করতে পারবে।
বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় গ্রাহকের আঙুলের ছাপ নিয়ে তা এনআইডি তথ্য ভাণ্ডারে মেলানোর পর গ্রাহকের কাছে তথ্য গেলে সিমটি নিবন্ধিত হয়।
এদিকে, আগামী জুলাই থেকে গ্রাহক তার নামে কয়টি সিম নিবন্ধিত হয়েছে তা জানতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ডাক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০০ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৬
এমআইএইচ