ঢাকা: ডেডলাইনে পর্যন্ত যেসব গ্রাহক তাদের সিম বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ) পদ্ধতিতে রি-রেজিট্রেশন করেন নাই এরই মধ্যে সেসব সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে যাদের সিম ‘রোমিং’ করা তারা দেশে আসার পর রি-রেজিস্ট্রেশনের আরও এক সপ্তাহ সময় পাবেন।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) সূত্র বুধবার (০১ জুন) বাংলানিউজকে এমনটাই জানিয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিটিআরসির দেওয়া তথ্য মতে, ৩১ মে এর মধ্যে ১০ কোটি ৮১ লাখ ৮ হাজার ১৩৮টি সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রি-রেজিস্ট্রেশন করেছেন গ্রাহকরা। এখনো প্রায় ২ কোটি ৩৭ লাখ গ্রাহক রি-রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি।
দেশে কাজ করা ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের প্রায় ৯০০ সংযোগ দেশের বাইরে ‘রোমিং’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যার বেশিরভাগই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়নি।
তবে দেশের বাইরে ছয়টি মোবাইল অপারেটরের প্রায় ৯০০ রোমিও সংযোগ রয়েছে। তারা এখনো বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রি-রেজিস্ট্রেশন করেননি।
রোমিং সিমগুলোর বিষয়ে বিটিআরসি মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে নির্দেশনা পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়, রোমিং সংযোগ ব্যবহারকারী গ্রাহক দেশে ফেরার পর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের জন্য সাত দিন সময় পাবেন। এর মধ্যে তাকে আঙুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
নিবন্ধনের সময় গ্রাহককে পাসপোর্ট ও দেশে ফেরার বিস্তারিত কাগজপত্র দেখাতে হবে বলেও ওই নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৬
এমআইএস/এসএইচ