ঢাকা: স্বপ্রণোদিতভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধন করানোর জন্য গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) গ্রামীণফোন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ৩১ মে পর্যন্ত গ্রামীণফোনের ৫ কোটি ১৭ লাখ গ্রাহক বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করেছেন, যা প্রতিষ্ঠানটির সর্বমোট গ্রাহকের প্রায় ৯০ শতাংশ।
পছন্দের মোবাইল অপারেটর হিসেবে গ্রামীণফোনের ওপর আস্থা রাখার জন্য গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠি গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানান।
গ্রাহকদের এই আস্থা কোম্পানিকে আরও উৎসাহিত করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আপনাদের আস্থার প্রতি সম্মান প্রদর্শনে সাশ্রয়ী মূল্যে দেশের সর্বোত্তম সেবাদানে আমরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। ”
মোবাইল ফোন গ্রাহকদের পরিচিতি নিশ্চিত এবং অপরাধ ঠেকাতে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন তাদের ডাটাবেজে সংরক্ষিত তথ্যের সাথে গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্র ও আঙুলের ছাপ যাচাই করে দেখে।
গ্রামীণফোনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, পহেলা জুন থেকে সকল অনিবন্ধিত সিম বন্ধ হয়ে গেছে। যেসব গ্রাহক এখনও সিম পুনর্নিবন্ধন করাতে পারেননি তারা পহেলা জুন থেকে যেকোনো সময় তাদের বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সিম ফের সক্রিয় করতে পারবেন।
গ্রামীণফোনের অনিবন্ধিত গ্রাহকরা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, একটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও বন্ধ হয়ে যাওয়া সিম নিয়ে গ্রামীণফোনের যেকোনো বায়োমেট্রিক পয়েন্টে গিয়ে পুনর্নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন। পরবর্তী ঘোষণা পর্যন্ত এসব সিম বিনামূল্যে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা যাবে।
অনিবন্ধিত সিমের মালিকেরা পহেলা জুনের পর ১৮ মাস পর্যন্ত তাদের সিম বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করাতে পারবেন। এরপর থেকে মোবাইল অপারেটররা অনিবন্ধিত সিমগুলো নতুন সংযোগ হিসেবে বিক্রি করে দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৬/ আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা.
এমআইএইচ/এটি