ঢাকা, শনিবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

মোবাইলে বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৬
মোবাইলে বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি

ঢাকা: মোবাইল ফোন সেবার উপর বাড়তি সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য অর্থমন্ত্রী আবু মাল আবদুল মুহিতের কাছে চিঠি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
 
রোববার (০৫ জুন) সচিবালয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম নিয়ে মোবাইল অপারেটরদের পক্ষে প্রতিমন্ত্রীর কাছে সম্পূরক শূল্কের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এ কথা জানান।


 
২ জুন জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী মোবাইল ফোন সেবার উপর শুল্ক হার পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব করেন। মোবাইল সিম বা রিম কার্ডের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার উপর বিদ্যমান তিন শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করে পাঁচ শতাংশ নির্ধারণ করেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট প্রস্তাবের রাত থেকেই অপারেটররা বর্ধিত টাকা কেটে নিচ্ছে গ্রাহকদের কাছে।
 
অতিরিক্ত অর্থ ভয়েস কল, এসএমএস এবং ডাটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছে অতিরিক্ত অর্থ কেটে নেওয়া হচ্ছে।
 
বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী জানান, মোবাইল ফোনের সেবায় সম্পূরক শুল্ক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করায় গ্রাহকের ওপর তেমন চাপ পড়বে না।
 
সভায় মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব) মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির সভায় বলেন, সম্পূরক শূল্ক বাড়িয়ে দেওয়া ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
 
মোবাইল ফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক পুরোটাই প্রত্যাহারের দাবি জানান অ্যামটব মহাসচিব।
 
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, মোবাইল ফোনের কথা বলার উপর কোনো কর বা সারচার্জ আরোপ না করার জন্য আমি বাজেটের আগেই অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমি অনুরোধ করেছিলাম, এ শিল্পটাকে বেড়ে উঠতে দেই। চিঠিটি আমি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। বাজেট বক্তৃতায় তার প্রতিফলনটা পাইনি।
 
সাংবাদিকদের একটি চিঠি দেখিয়ে তারানা হালিম বলেন, আমি আরেকটি চিঠি ড্রাফট (খসড়া) করেছি, এটা আমি সই করে আজই অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। অনুরোধ করেছি আমাদের মোবাইলে কথা বলার উপর যদি এ হারে সারচার্জ আরোপ করা হয় তাহলে ইন্ডাস্ট্রিটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
 
তারানা হালিম বলেন, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি আমার একটি অঙ্গীকার ছিল পুরো দেশকে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা, আরেকটি ছিল সুলভ করা। আমি সুলভটা করব কীভাবে। যদি আমার নতুন করে সারচার্জ আরোপ হয়? তাহলে আমার কমিটমেন্টের একটি বাধাগ্রস্ত হবে।
 
“আমার তিনটি উদ্দেশের মধ্যে একটি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে, যদি এ সারচার্জটি আরোপ করা হয়। আমি প্রত্যেকের হাতে একটি মোবাইল ফোন দিতে চাই, প্রত্যেককে কানেকটিভিটির আওতায় আনতে চাই। ”
 
মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেটের খরচ প্রতিবেশি দেশের থেকে আমাদের দেশের চেয়ে অনেক কম বলে জানান তারানা হালিম।
 
তিনি বলেন, আমি আরও কমাতে চেয়েছিলাম। আরও কমাতে পারাটা তো প্রতিবন্ধকতা হয়ে যাচ্ছে।
 
জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই বলবেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থমন্ত্রীকে আজই চিঠি দেব, ব্যক্তিগতভাবেও বলব। বাজেটে এ সংশোধনী এনে যাতে বাজেটটি পাস করা করা হয়, এ ব্যাপারে আমরা শতভাগ চেষ্টা থাকবে। তবে আউট কামটা জানি না, আমি যখন শতভাগ চেষ্টা দেই তখন আউটকাম খারাপ হয় না।
 
চার অগ্রাধিকার
বায়োমেট্রিক সম্পন্নের পর এবার চারটি বিষয় নিয়ে কাজ করবেন বলে জানান তারানা। মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) দ্রুতই বাস্তবায়ন, সারা দেশে নেটওয়ার্ক উন্নত, টেলিটকের নেটওয়ার্ক উন্নত ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং ডাক বিভাগকে লাভজনক করবেন প্রতিমন্ত্রী।
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, মোবাইল ফোন অপারেটর প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, জুন ০৫ জুন, ২০১৬
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।