ঢাকা, শনিবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সরকার চায় সক্ষমতা

সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বাংলাদেশ এক নম্বরে

এস এম আববাস, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৮ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৬
সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বাংলাদেশ এক নম্বরে

ঢাকা: সাইবার আক্রমণে বিশ্বে প্রতি বছর ৫ হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার হচ্ছে। হ্যাকারদের এই অর্থ চুরিই শেষ কথা নয়, তাদের আক্রমণে রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত ঝুঁকিও বর্তমানে সবচেয়ে বেশি।

আর এ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ রয়েছে এক নম্বরে।
 
অন্যদিকে একুশ শতকের উপযুক্ত সক্ষমতা অর্জনে তথ্য-উপাত্তের ডিজিটালাইজেশন ছাড়া গত্যন্তর নেই। সে কারণে স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারসহ তথ্য-উপাত্ত ডিজিটালাইজেশনে সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে সরকার। আইন প্রণয়নসহ প্রচলিত আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করে নিরাপত্তা বাড়ানো এখন জরুরি বলেও মনে করছে সরকার।    
 
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ‘স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারে সরকারের নির্দেশিকা-২০১৬’ এর খসড়ায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
 
খসড়ায় বলা হয়, ২০১১ সালে অ্যাপসিলন ক্রেডিটকার্ড চুরির ঘটনায় ৪০০ কোটি ডলার, সনির অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ২০০ কোটি ডলার পাচার হয়ে যায়। সর্বশেষ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা পাচার হয়ে যায় দেশের বাইরে।
 
অন্যদিকে তথ্য ফাঁসের ঘটনাও বেশ গুরুপূর্ণ হয়ে উঠেছে বিগত কয়েক বছরে। ২০১০ সালে ইরানে পারমাণবিক স্থাপনায় হ্যাকিং, ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বারাক ওবামার নির্বাচনী প্রচারণার গোপন তথ্য ফাঁস এবং ২০০৭ সালে এস্তেনিয়ায় সাইবার যুদ্ধে সরকারি ওয়েবসাইট ধ্বংস সাইবার আক্রমণের ভয়াবহ নিদর্শন।
 
এসব কারণে সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্য নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে সরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা হ্যাকিংয়ের ঘটনা গত মার্চের প্রথম দিকে ফাঁস হওয়ার পর দেশের ব্যাংকগুলো সচেতনভাবে নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলা করছে। তেমনি তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে।  
 
গত ২০ মার্চ সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্য নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ ‘স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারে সরকারের নির্দেশিকা-২০১৬’ এর খসড়া প্রস্তুত করে। মন্ত্রিপরিষদের এই খসড়া নির্দেশিকাকে ছায়ালিপি ধরে সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে অধীনস্থ দফতরগুলোকে।
 
গত ১৭ এপ্রিল গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সকল দফতরকে মন্ত্রিপরিষদের সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৬ এর খসড়াকে ছায়ালিপি ধরে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
 
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অধিশাখা-৩ থেকে উপ-সচিব আব্দুল আলীম খান স্বাক্ষরিত নির্দেশনার পর গত ৪ মে গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসনাত সাবরিনা সংশ্লিষ্ট অধীনস্থ দফতরগুলোতে খসড়া নির্দশিকা প্রতিপালনের নির্দেশ দেন।
 
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারসহ তথ্য নিরাপত্তায় সরকারের পদক্ষেপ বাস্তবায়ন শুরু করছে।
 
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্কতা
সরকারের ৮ শতাধিক প্রতিষ্ঠান সরকারি অফিস দাফতরিক কাজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে। একুশ শতকের উপযোগী সক্ষমতা অর্জন করতে দাফতরিক কাজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার ছাড়া যেমন গত্যন্তর নেই, তেমনি নিরাপত্তার প্রয়োজনে নির্দেশিকা মানাও জরুরি বলে মনে করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৬
এসএমএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।