ঢাকা: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল স্তরের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের যোগাযোগের জন্য ‘আলাপন’ নামের একটি যোগাযোগ মাধ্যম আসছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খুব শিগগিরই এই মাধ্যম উপস্থাপন করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাজধানীর গেগুন বাগিচায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনে সাংবাদিকদের জন্য বেসিক আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভাইবার, হোয়াটস অ্যাপের মত যোগাযোগ অ্যাপের মত অ্যাপ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে আইসিটি বিভাগ। বাংলাদেশের সবাই ব্যবহার করতে পারবেন।
দেশিয় একটি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে ‘আইসিটি ডিভিশন আলাপন’ নামে অ্যাপসটির বেটা ভার্সন তৈরি হয়েছে। আশা করছি অল্প দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করতে পারবো। আইসিটি বিভাগের নিজস্ব এই অ্যাপের মাধ্যমে ১৪ লাখ সরকারি কর্মকর্তা আছেন, তাদের আন্তঃসংযোগের জন্য ফাইল লেনদেন, ভিডিও কনফারেন্স- প্রত্যেকটা কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্বল্প পরিমাণ অর্থ খরচ করে ব্যবহার করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী নিজেও আলাপন নামের এই অ্যাপসটি ব্যবহার করছেন জানিয়ে পলক বলেন, ভিডিও কলের কোয়ালিটি ডেভেলপমেন্ট করছি।
তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সেবসমূহকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার বাসনো হচ্ছে বলে জানান পলক। সাত বছরে ডিজিটাল ফর্মে সরকারি সেবাসমূহ পৌঁছে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায় বৈচিত্র আনতে বিভিন্ন খাতে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
আইসিটি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় সাংবাদিকদের জন্য এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এর আওতায় ৫৫ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
সারা দেশে এক হাজার ৯০০ সাংবাদিককে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও জানান পলক।
তিনি বলেন, সারা দেশে শেখ কামাল নামে ১০টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে, যার মাধ্যমে এসএসসি-এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে আয় করতে পারবে।
আউট সোর্সিংয়ে বাংলাদেশ ২০১৪ সালে প্রথমবার ৫০টি দেশের মধ্যে ২৬তম স্থানে থাকলেও এ বছর আরও এগিয়ে ২২তম স্থানে উঠে এসেছে বলে জানান পলক।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ৫ বিলিয়ন আয় হবে, যা জিডিপিতে ৫ শতাংশ অবদান রাখবে।
সাংবাদিকদের জন্য এই প্রশিক্ষণ তাদের প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ করার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে আশা করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা।
আইসিটিখাতে ই-কর্মাস আয়ের অন্যতম খাত উল্লেখ করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন (বেসিস) সভাপতি শামীম আহসান ই-কমার্সের উপর ভ্যাট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের পরিচালক মনজুর কাদের চৌধুরী, রেডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ফারুক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৬
এমআইএইচ/বিএস