ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ভ্যাট, ট্যাক্স নয়

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৬
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ভ্যাট, ট্যাক্স নয়

প্রস্তাবিত বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্টদের বাজেট প্রস্তাবনা নিয়ে ‘প্রস্তাবিত বাজেট ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাস্তবতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেসিস ও দৈনিক ইত্তেফাকের যৌথ উদ্যোগে বেসিস মিলনায়তনে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

গোলটেবিল বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বিভিন্ন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, গনমাধ্যম, ব্যাংক ও ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনসহ বিভিন্ন খাতের সঙ্গে সম্পৃক্তরা তাদের বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। সঞ্চালনা করেন বেসিস সভাপতি ও এফবিসিসিআই পরিচালক শামীম আহসান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই বেসিসসহ অন্যান্য অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে বাজেট প্রস্তাবনা নিয়েছি। এগুলো সম্মিলিতভাবে সরকারের কাছে উপস্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশিয় কোম্পানির সক্ষমতা রয়েছে। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আছে, সবসময় থাকবে।

বেসিস সভাপতি ও এফবিসিসিআই পরিচালক শামীম আহসান বলেন, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অন্তত ১০ শতাংশ বাজেট সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করছি। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাড়িভাড়ার উপর আরোপিত ভ্যাট ও সম্ভাবনাময় ই-কমার্স খাতের ট্যাক্স রহিত করা প্রয়োজন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যাতে বিনিয়োগ আসে তারজন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানির উপর তিনবার ট্যাক্স আরোপের পরিবর্তে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

ইত্তেফাকে নির্বাহী সম্পাদক তারিন হোসেন বলেন, ইত্তেফাক দেশের তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় সরাসরি সম্পৃক্ত। তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে ইত্তেফাকে প্রতিদিন একটি পেইজই আছে। আমরা দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের প্রস্তাবনা, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে তুলে ধরছি, আগামীতেও তার ধারাবাহিকতা থাকবে।
 
বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, এবার পার্সোনাল ইনকাম ট্যাক্স বাড়ানোর কারণে আইসিটি খাতের উদ্যোক্তাদের উপর বড় প্রভাব পড়বে। আগের যে সুবিধাগুলো ছিলো সেগুলোই বহাল রাখা উচিত। আর আমরা তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তারা সরকারকে সহায়তা করতে চাই, নিতে নয়। তবে তার আগে আমাদের সেই পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে।

বাক্যর সহ-সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, গার্মেন্টস খাতের মতো কেনো আইসিটি খাতে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। অথচ বিভিন্ন করারোপ করা হচ্ছে। সরকারের সাথে ইন্ডাস্ট্রির দূরত্ব তৈরি হয়ে যাচ্ছে। বিষয়গুলোতে সরকারের নজর দেওয়া প্রয়োজন।

বেসিস ই-কমার্স অ্যালায়েন্সের সমন্বয়ক আশিকুল আলম খান বলেন, আমাদের স্থানীয় কোম্পানির নিশ্চয়তা নেই। আমাদের কয় বছরের জন্য বিজনেস প্লান করতে হবে সেটিও নিশ্চিত না। বিদেশী ও টেলিকম কোম্পানিগুলো এসে বাজার দখল করছে। অথচ দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুবিধা না দিয়ে বরং উল্টো ট্যাক্স আরোপ করা হচ্ছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো- ট্রেড লাইসেন্সে ই-কমার্স নেই, কিন্তু ভ্যাট-ট্যাক্স রয়েছে।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার, ই-ক্যাব সভাপতি রাজিব আহমেদ, মাস্টার কার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মাদ কামাল, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল কাশেম শিরিন,
আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশীদ, সুশান্ত কুমার সাহা, বেসিসের সাবেক সভাপতি সারওয়ার আলম, এ তৌহিদ, অ্যাসোসিওর সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ এইচ কাফি, বেসিসের সাবেক মহাসচিব আতিক ই রাব্বানী, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. রোকনুজ্জামান, ঢাকা চেম্বারের মহাসচিব এ.এইচ.এম রেজাউল কবির, সিফ ভেঞ্চার ক্যাপিটালের জিয়া আহমেদ, বিডি ভেঞ্চার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত হোসেন, বাগডুম ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা কামরুন আহমেদ, সূর্যমুখীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফিদা হক, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তরিক রহমান, দৈনিক প্রথম আলোর ডেপুটি ফিচার এডিটর পল্লব মোহাইমেন, চালডাল ডটকমের সিওও জিয়া আশরাফ, রিভেরি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিমা আক্তার নিশা, এসএসএল ওয়্যারলেসের আশীষ চক্রবর্তী, জিঅ্যান্ডআর এর ভাইস প্রেসিডেন্ট লুতফি চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৬
এসজেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।